সিটি প্যালেসে বেড়াতে যাবেন? যাওয়ার আগে জেনে নিন সেখানে কী কী দেখার আছে? ছবি: সংগৃহীত।
ইউরোপের মঞ্চ কাঁপিয়ে এখন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সঙ্গীতানুষ্ঠান করছেন পঞ্জাবি পপ তারকা দিলজিৎ দোসাঞ্জ। দিলজিতের ‘দিল-লুমানাতি’ সঙ্গীতানুষ্ঠানের সফর শুরু হয়েছে অক্টোবর থেকে। রবিবার তিনি রাজস্থানের জয়পুরে কনসার্ট করেছেন। সেই সঙ্গে ঘুরেছেন ‘গোলাপি শহর’ বলে পরিচিত জয়পুরের সিটি প্যালেসেও। সেই ছবি ভাগ করে নিয়েছেন সমাজমাধ্যমে।
পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে অত্যন্ত জনপ্রিয় রাজস্থানের এই শহর। এই শহরের আনাচকানাচে ছড়িয়ে ইতিহাস, সংস্কৃতি। এখানেই রয়েছে বিখ্যাত আমের ফোর্ট, হাওয়া মহল, সিটি প্যলেস, জল মহল-সহ একাধিক স্থান। জয়পুরে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন? দিলজিতের মতো সিটি প্যালেসেও ঘুরবেন নিশ্চয়ই। জানেন কী এর ইতিহাস? এখানে দর্শনীয় কী আছে?
সিটি প্যালেসে পঞ্জাবি গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
১৭২৭ সাল। মহারাজা দ্বিতীয় সওয়াই জয় সিংহ রাজধানী আমের থেকে জয়পুরে স্থানান্তিরত করলেন। নতুন রাজধানীর জন্য তৈরি হল প্রাসাদ। রাজকার্য পরিচালনার স্থান। তৈরি হল রাজকীয় সিটি প্যালেস। ১৭৩২ সালে রাজকীয় প্রাসাদের নির্মাণকাজ শেষ হয়।
এই প্রাসাদের আনাচকানাচে রয়েছে ইতিহাস। রাজবংশের নানা নিদর্শন। বিশাল চত্বর জুড়ে সে সবের অবস্থান। প্রাসাদের স্থাপত্য আজও বিস্ময় জাগায় শিল্পরসিকদের মনে।
বিশাল এই প্রাসাদের পরতে পরতে বিস্ময়। এক এক স্থান এক এক রকম। ভাল করে ঘুরে দেখতে যেতে চাইলে দরকার গাইডের। সময়ও লাগবে যথেষ্ট।
কী কী দেখবেন সেখানে?
সিটি প্যালেসে যাওয়ার জন্য তিনটি বড় প্রবেশদ্বার রয়েছে। জালেব চকের কাছে উদাই পল, যন্তর মন্তরের কাছে বীরেন্দ্র পল এবং ত্রিপোলিয়া। তৃতীয় প্রবেশদ্বার দিয়ে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে শুধু রাজস্থানের রাজপরিবারের সদস্যদের।
সভা নিবাস
মোগলদের দিওয়ান-ই-আমের আদলে তৈরি সভা নিবাস। এটাই ছিল জনতার দরবার। বিশাল সভাস্থলের খিলান, শ্বেতপাথরের কারুকাজ দেখার মতো।
সর্বতোভদ্র
মোগল দিওয়ান-ই-খাসের অনুকরণে এটি তৈরি। এখানে আমজনতার প্রবেশাধিকার ছিল না। রাজা এবং তাঁর পার্ষদদের দরবার ছিল এটি। এখানে রাজপরিবারের সদস্যেরা এখন দশেরা, তিজের মতো অনুষ্ঠান পালন করেন।
চন্দ্র মহল
চন্দ্র মহলের ছবি নিবাস। নীল-সাদার কারুকাজে শোভিত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সিটি প্যালেসেই রয়েছে সাততলা বিশিষ্ট চন্দ্র মহল। বহু পুরনো এই মহল। এর প্রথম দু’টি তলা পরিচিত ‘সুখ নিবাস’ নামে। রঙিন কাচের কারুকাজ দেখার মতো এখানে। তৃতীয় তলায় রয়েছে ‘ছবি নিবাস’। সাদা এবং নীলের কারুকাজ দেখা যায় এই অংশে। ষষ্ঠ এবং সপ্তম তলে রয়েছে ‘শ্রীনিবাস’ এবং ‘মুকুট মন্দির’।
মুবারক মহল
১৯০০ সালে সিটি প্যালেসের মধ্যবর্তী অংশে তৈরি হয় মুবারক মহল। ঝুলন্ত বারান্দা ঘেরা এই মহলের স্থাপত্যশৈলী দেখার মতো। এক সময় বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য এটি তৈরি করানো হয়েছিল। এখন সেখানে তৈরি হয়েছে সংগ্রহশালা।
প্রীতম নিবাস চক
চন্দ্র মহলে প্রবেশের আগে রয়েছে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। সেখানেই প্রীতম নিবাস চক। এখানে রয়েছে চারটি দরজা। ময়ূরের কাজ করা এই দরজা এখানকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।