অনন্যার সঙ্গী যখন শুধুই রোমাঞ্চ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
জঙ্গল অভিযানে বেরিয়েছেন অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। ছুটির মেজাজে তানজানিয়ার জঙ্গলে সাফারি ভ্রমণে মত্ত অভিনেত্রী। রোজের কর্মব্যস্ততা, পাপারাৎজ়ির কোলাহল আর শুটিং ফ্লোর থেকে অনেক দূরে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন অনন্যা।
অনন্যার ইনস্টাগ্রাম খুললেই চোখে পড়বে জঙ্গল সাফারির নানা মূহূর্ত তিনি সুন্দর করে ক্যামেরাবন্দি করেছেন অনুরাগীদের জন্য। দুর্গম ঘন জঙ্গলে ঢাকা গা ছমছমে পরিবেশ। নানা প্রজাতির হিংস্র জীবজন্তুর মাঝেই সাফারি ভ্রমণ। একরাশ রোমাঞ্চ তখন সঙ্গী হয়েছে নায়িকার।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়া। তানজানিয়ার প্রসঙ্গ উঠলেই মনের কোনায় উঁকি দিলে যে নামটা বাঙালির মাথায় আসবেই, তা হল জগদ্বিখ্যাত কিলিমাঞ্জারো পর্বত আর চাঁদের পাহাড়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসের নায়ক চির রোম্যান্টিক পর্যটক শঙ্করের অ্যাডভেঞ্চারের কথা কি আর ভোলা যায়!
প্রকৃতির মাঝে যেন শান্তি খুঁজে পেয়েছেন অনন্যা। নিজের পোস্টের ক্যাপশনে চাঙ্কি-কন্যা লিখেছেন, ‘‘সবচেয়ে আনন্দে আছি।’’ অভিনেত্রী একাই বেড়াতে গিয়েছেন, না কি তাঁর সঙ্গে অন্য সঙ্গী রয়েছেন, তা অবশ্য নায়িকার ছবিগুলি দেখে স্পষ্ট হয়নি।
ইচ্ছে করলে আপনিও অনন্যার মতোই তানজানিয়ার জঙ্গে রোমাঞ্চের খোঁজে ঢুঁ মারতে পারেন। কী কী রয়েছে সেখানে? আফ্রিকা মহাদেশের ১৩ তম এবং গোটা পৃথিবীর ৩১তম বৃহত্তম দেশ তানজানিয়ার ৩৮ শতাংশ ভূমি কেবলমাত্র বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রাণীদের সংরক্ষণের জন্য সম্পূর্ণ রূপে সুরক্ষিত। ১৬টি বিশাল জাতীয় উদ্যান আছে এ দেশে। উত্তর ও দক্ষিণে যথাক্রমে কেনিয়া ও উগান্ডা সীমান্ত থেকে শুরু করে তানজানিয়ার উত্তর-পূর্বে কিলিমাঞ্জারোর ঘন জঙ্গল, উত্তর-পশ্চিমে গোটা আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে বৃহত্তম হ্রদ, লেক ভিক্টোরিয়া ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ। ‘চাঁদের পাহাড়’-এর শঙ্কর হোক কিংবা অনন্যা— এই জঙ্গলের শোভা মুগ্ধ করেছে সকলকেই। গোমেবস্ট্রিম ন্যাশনাল পার্কে শিম্পাঞ্জির চারণভূমি বিশ্বের আর কোথাও নেই। সেরেঙ্গেটি জঙ্গলের অদ্ভুত বিরল বন্যপ্রাণীর সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার ২৭৫ ধরনের ভয়ঙ্কর সব সরীসৃপের সন্ধানও আপনি একমাত্র তানজানিয়াতেই পাবেন।