—প্রতীকী ছবি।
‘আর বেঙ্গল ক্যাটস লিগাল ইন অস্ট্রেলিয়া??’ ইংরেজি অক্ষরে এই ছ’টি শব্দ দিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি হচ্ছে। যার অর্থ, বাংলার বিড়াল কি অস্ট্রেলিয়ায় বৈধ? অনেকেরই মনে হবে এই বাক্যের কী এমন মাহাত্ম্য। কেন আলাদা করে এই বাক্যের কথা লিখতে হচ্ছে? আসলে সাধারণ মনে হলেও এই ছ’টি শব্দ কিন্তু আদৌ সাধারণ নয়। বরং, বিপদের সঙ্কেত। এই ছ’টি শব্দ অসাবধানতাবশত সার্চ করে একটি অত্যাধুনিক সাইবার আক্রমণের শিকার হতে পারেন যে কেউ। কারণ, এই ছ’টি শব্দ দিয়েই ইন্টারনেটে জাল পাতছে হ্যাকারেরা।
নিউ ইয়র্ক পোস্টের মতে, সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ‘সোফোস’ সম্প্রতি একটি সতর্কতা জারি করেছে। সংস্থার তরফে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের গুগ্লে এই নির্দিষ্ট বাক্যটি সার্চ না করা করার অনুরোধ করা হয়েছে। সোফোস জানিয়েছে, হ্যাক করার এই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া পরিচিত ‘এসইও পয়জ়নিং’ বা ‘এসইও বিষক্রিয়া’ নামে। তাদের দাবি, খুব বুদ্ধি করে এই বাক্যটি গুগ্লে বেশি সার্চ হওয়া বাক্য হিসাবে জায়গা করে দিচ্ছে হ্যাকাররা। আর কেউ সেই বাক্য সার্চ করে যে লিঙ্ক দেখা যাবে সেখানে ক্লিক করলেই ওই ব্যবহারকারীর ডিভাইস হ্যাক হয়ে যাচ্ছে। বেহাত হয়ে যাচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য। ব্যাঙ্ক থেকে হাপিস হয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সোফোসের মতে, ওই লিঙ্কগুলি অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ ভাবে বিপজ্জনক, এবং সেই জন্যই বাক্যের মধ্যে ‘অস্ট্রেলিয়া’ শব্দটি রাখা হয়েছে।
তবে এই প্রতারণার জাল থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ও বাতলেছে ওই সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কারও যদি মনে হয় যে তিনি এসইও বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছেন, তা হলে অবিলম্বে তাঁর ইমেল এবং নেটব্যাঙ্কিং-সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বদলে দেওয়া উচিত। ফোন বা কম্পিউটারে ‘অ্যান্টিভাইরাস স্ক্যান’ করা উচিত অবিলম্বে। তবে সবচেয়ে নিরাপদ উপায় ওই নির্দিষ্ট বাক্য দিয়ে গুগ্লে কোনও সার্চ না করা।