—প্রতীকী ছবি।
ফোন কিনবেন বলে বহু দিন ধরে টাকা জমিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু হাজার হাজার টাকা খরচ করার কিছু দিনের মধ্যেই যদি নতুন স্মার্টফোনের আয়ু ফুরিয়ে যায় তা হলে পকেট এবং বুকে দু’জায়গায় ব্যথা বাড়ে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই এই বিপদ থেকে চটজলদি মুক্তি পেতে পারেন।
সারা রাত ফোন চার্জে দিয়ে রাখলেই বিপদ। এর ফলে ফোনের ক্ষতি হয়। ১০০ শতাংশ অথবা ১০০ শতাংশের কাছাকাছি ফোন চার্জ হয়ে গেলে তবে চার্জিং কেবল খুলতে পারেন। আবার খুব বেশি ক্ষণ ফোনে চার্জ না দিয়ে রাখলেও ক্ষতির সম্ভাবনা দূর করা যায় না। প্রযুক্তিবিদদের অধিকাংশের দাবি, ফোনে চার্জের পরিমাণ যদি এক সংখ্যায় নেমে পড়ে এবং সেই অবস্থায় যদি প্রতিনিয়ত ফোনে চার্জ দেওয়ার অভ্যাস তৈরি হয় তা হলে ফোন খারাপ হতে বাধ্য।
আজকাল স্মার্টফোনে ‘ওয়াটার প্রোটেকশন’ দেওয়া থাকলে ফোন জলে ভিজলে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচা যায়। কিন্তু কেউ কেউ সমুদ্রে ঘুরতে গেলে ছবি তোলার জন্য সেই ফোন নিয়ে জলে নেমে পড়েন। সমুদ্রের জল ফোনের পোর্টের ভিতর প্রবেশ করে ক্ষতি করে। শুধু সমুদ্রই নয়, জলপ্রপাত থেকে শুরু করে বড় সুইমিং পুল— কোথাও ফোন নিয়ে নামা উচিত নয়। জলের প্রবল চাপে স্মার্টফোন খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
স্মার্টফোনের স্ক্রিনের যেন কোনও ক্ষতি না হয়, তাই ‘ইউভি কিয়োরড টেম্পার্ড গ্লাস’ লাগানো হয়। প্রতিরক্ষার জন্য আলাদা ভাবে গ্লাস লাগানোর জন্য বিশেষ ধরনের আঠালো তরল স্প্রে করা হয়। পরে সেই আঠালো পদার্থই জমাট বাঁধার পর বিভিন্ন পোর্ট অথবা স্পিকারের মাধ্যমে ফোনের অন্দরমহলে ঢুকে পড়ে। ফলে ফোনের আয়ুও হঠাৎ থেমে যায়।
স্মার্টফোনের উপর যেন কোনও দাগ না পড়ে সে কারণে আলাদা ভাবে ফোনে কেস লাগানো হয়। কিন্তু কম দামি কেস কিনলেই মুশকিল। ফোন এবং কেসের মাঝে ধুলোবালি জমতে শুরু করে। পরে সেখান থেকেই ফোনের ভিতর ঢুকে যায়। তা আসলে স্মার্টফোনের বিপদ ডেকে আনে।
ফোনের স্ক্রিনে ধুলো জমলে আমরা জামা অথবা হাতের নাগালে পাওয়া কাপড়ের কোনও টুকরো দিয়েই মুছে ফেলি। কিন্তু এর ফলে ময়লাগুলি আরও স্ক্রিনের উপর চেপে বসে যায়। ফোনের স্ক্রিন পরিষ্কার রাখার জন্য বিশেষ ধরনের মাইক্রোফাইবারের কাপড় পাওয়া যায়। এই কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করলে তা ফোনের স্ক্রিনে লেগে থাকা সব ধুলো টেনে তুলে ফেলে। ফোনের স্ক্রিনও নতুনের মতো দেখায়।