Google Pixel 9 Pro

লাখ টাকার বেশিতে বিক্রি হচ্ছে ৩৪ হাজারি ফোন! গুগ্‌ল-মোবাইলের দর ঘিরে শোরগোল

‘গুগ্‌ল পিক্সেল ৯ প্রো’ তৈরির খরচ মাত্র ৩৪ হাজার টাকা। যদিও লাখ টাকার বেশিতে ভারতের খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছে সেই ফোন। সমাজমাধ্যমের পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে হইচই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ১২:২৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

তৈরিতে খরচ ৩৪ হাজার টাকা। অথচ লাখ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে সেই মোবাইল ফোন! বহুজাতিক টেক জায়ান্ট সংস্থা ‘গুগ্‌ল’-এর ফোন নিয়ে এ বার এমনই তথ্য সামনে এল। কেন নির্মাণ খরচের তিন গুণ বেশি মূল্যে ফোন বিক্রি করা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা অবশ্য মেলেনি।

Advertisement

সম্প্রতি, ‘গুগ্‌ল পিক্সেল ৯ প্রো’-র নির্মাণ খরচ সংক্রান্ত তথ্য সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, এই সিরিজের এক একটি ফোন তৈরি করতে টেক জায়ান্ট সংস্থাটির খরচ হচ্ছে ৪০৬ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩৪ হাজার টাকা। অথচ এ দেশের বাজারে ওই ফোনগুলিই কিনতে গেলে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। অর্থাৎ, তিন গুণের বেশি টাকা দিয়ে গুগ্‌ল পিক্সেল ৯ প্রো কিনছেন তাঁরা।

সূত্রের খবর, ‘পিক্সেল ৮ প্রো’-এর চেয়ে ১১ শতাংশ কম খরচে নতুন এই মডেলটি তৈরি করেছে গুগ্‌ল। এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) করা পোস্টে যার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছে ‘@জুকানলোসরেভ’। সেই তথ্য অনুযায়ী, টেনসর জি-৪ চিপসেটের জন্য ৬ হাজার ৪০০ টাকা, স্যামসাংয়ের তৈরি এম-১৪ ডিসপ্লের জন্য ৬ হাজার ৩০০ টাকা এবং ক্যামেরার জন্য ৫ হাজার ১০০ টাকা খরচ করছে এই টেক জায়ান্ট সংস্থা।

Advertisement

এই তিনটি মিলিয়ে মোট ১৮ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে গুগ্‌লের। এ ছাড়া শিপিং, মার্কেটিং ও অন্যান্য খরচ ধরে মোট ব্যয় ৩৪ হাজার টাকার কাছাকাছি দাঁড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই নেটাগরিক। পিক্সেল ৮ প্রোর চেয়ে কম খরচে এই ফোন নির্মাণের পিছনে ছোট ডিসপ্লে ও ব্যাটারির কথা বলেছেন তিনি।

অন্য দিকে ‘আইফোন ১৬ প্রো’ তৈরির খরচ আগের ভ্যারিয়্যান্টের (পড়ুন আইফোন ১৫ প্রো) চেয়ে বৃদ্ধি করেছে ‘অ্যাপল’। এই ফোনের এম-১৪ ডিসপ্লের জন্য ৯ হাজার ৩০০ টাকা, ক্যামেরার বিভিন্ন উপাদানের জন্য ৭ হাজার ৭০০ টাকা ও চিপের জন্য ১১ হাজার ৪০০ টাকা খরচ করছে ওই আমেরিকান সংস্থা।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ব্র্যান্ডের ফোনগুলির দাম বেশি হওয়ার পিছনে অন্যতম প্রধান কারণ শুধুমাত্র এর উন্নত হার্ডঅয়্যার বা সফ্‌টঅয়্যার নয়। সংস্থাগুলি গ্রাহকদের তাঁদের ইকোসিস্টেমের অভিজ্ঞতা দিতে চান। যার মধ্যে রয়েছে বিরামহীন ইন্টিগ্রেশন ও সিস্টেমের আপডেট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement