সুব্রত কাপে খেলতে দিল্লি গেল রাজগঞ্জের স্কুলপড়ুয়ারা

অনূর্ধ্ব ১৭ সুব্রত কাপের আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় খেলতে দিল্লি রওনা হল বাংলা জয়ী রাজগঞ্জ মহেন্দ্র নাথ হাইস্কুলের ছেলেরা। বুধবার দিল্লি রওনা হওয়ার আগে উত্তরকন্যায় তাঁদের শুভেচ্ছা জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৪৬
Share:

মন্ত্রীর সঙ্গে রাজগঞ্জ মহেন্দ্রনাথ হাইস্কুলের ছাত্ররা। —নিজস্ব চিত্র।

অনূর্ধ্ব ১৭ সুব্রত কাপের আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় খেলতে দিল্লি রওনা হল বাংলা জয়ী রাজগঞ্জ মহেন্দ্র নাথ হাইস্কুলের ছেলেরা। বুধবার দিল্লি রওনা হওয়ার আগে উত্তরকন্যায় তাঁদের শুভেচ্ছা জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। উত্‌সাহ দেওয়ার জন্য তাঁদের হাতে এক লক্ষ টাকার চেক ও খেলোয়াড়দের জন্য সবুজ ট্রাকস্যুট তুলে দেন তিনি। দলের কোচ তথা ক্রীড়াশিক্ষক উত্তম চক্রবর্তী ট্রফি আনার বিষয়ে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন। তিনি মন্ত্রীর কাছে দাবি করেন, আই লিগে উত্তরবঙ্গের একটি দল যাতে খেলতে পারে তার ব্যবস্থা করতে। মন্ত্রী তাঁদের রাজ্য ক্রীড়া দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

গৌতমবাবু বলেন, “সুব্রত কাপ ঐতিহ্যশালী প্রতিযোগিতা। সেখানে জিতে যেন ফিরতে পারে তার জন্য শুভেচ্ছা রইল। তারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরলে ফের সংবর্ধিত করা হবে।” দলের সঙ্গে যাচ্ছেন কোচ ছাড়াও স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা ম্যানেজার মিহির সরকার। তাঁরা জানান, তাঁদের গ্রুপে রয়েছে ব্রাজিলের স্কুল, উড়িষ্যার চ্যাম্পিয়ন দল ও সর্বভারতীয় আর্মি স্কুল। আগামী ১২ অক্টোবর আর্মি স্কুলের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রথম খেলা রয়েছে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে। কোচ জানান, তাঁদের দলে একাধিক খেলোয়াড় রয়েছে, যাঁরা যে কোনও দলের বিরুদ্ধে জিতিয়ে দিতে পারে। তাঁদের বিশেষ নজর থাকবে সূরজ রসাইলি, সনাতন কর্মকার, প্রতীক লামা, মনোজ মহম্মদদের দিকে। দলের গোলরক্ষক শমীক মিত্র অনূর্ধ্ব ১৪ রাজ্য দলের অধিনায়ক ছিলেন। রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় চোটের জন্য খেলতে পারেনি সে। “তাই প্রমাণ করার তাগিদ রয়েছে” জানায় সে। দলের অধিনায়ক সনাতন বলে, “আমরা গতবার রাজ্য স্তরে ফাইনালে হেরে গিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলার সুযোগ হাতছাড়া করেছি। তাই এবারে খালি হাতে ফিরতে চাই না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement