কমনওয়েলথে জ্বালা-সিন্ধু। বুধবার গ্লাসগোয়। ছবি: টুইটার
চোটের কারণে তিনি নিজে নামতে পারেননি খেতাব রক্ষার লড়াইয়ে। তবু কমনওয়েলথ গেমস ব্যাডমিন্টনে মেয়েদের সিঙ্গলসের সোনাটা ভারতেই ফেরত আসবে, বলছেন সাইনা নেহওয়াল।
গ্লাসগো গেমসে ব্যাডমিন্টনের সব ক’টি ইভেন্টেই ভারতের পদক দেখছেন সাইনা। তবে হায়দরাবাদি চ্যাম্পিয়নের বক্তব্য, দু’টি সোনা মোটামুটি নিশ্চিত ভাবে পেতে চলেছে ভারত। মেয়েদের সিঙ্গলস এবং ডাবলসে। “আমার ধারণা, ব্যাডমিন্টনের সব ক’টা ইভেন্ট থেকেই পদক আসবে। আর দু’টো সোনা আসবে। একটা জ্বালা গাট্টা-অশ্বিনী পোনাপ্পার, অন্যটা পি ভি সিন্ধুর ইভেন্টে,” এক সাক্ষাৎকারে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সাইনা।
চার বছর আগে, দিল্লি গেমসে ১০১টি পদক জিতে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিল ভারত। তবে এ বার ততটা উজ্জ্বল সাফল্যের আশা করছেন না কেউ। ভারতীয় অ্যাথলিটরা যে রকমের প্রস্তুতি নিয়েছেন, তাতে পদক তালিকায় অন্তত তৃতীয় স্থানে শেষ করাটাই লক্ষ্য, জানিয়েছেন ভারতের শেফ দ্য মিশন রাজ সিংহ। এর একটা কারণ যেমন নয়াদিল্লির কিছু ইভেন্ট গ্লাসগোয় না থাকা, তেমনই, শু্যটারদের অফ ফর্মও একটা কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। দিল্লিতে ৩০টি পদক এসেছিল শু্যটিংয়ে। এ বার সেই সংখ্যা কমবে বলে আশঙ্কা। ভারতীয় শিবিরের ধারণা গ্লাসগো থেকে ষাট বা তার বেশি পদক আসবে। এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে ব্যাডমিন্টন তারকারা বড় ভূমিকা নেবেন, আশায় সবাই। শু্যটিং, বক্সিং, হকি, অ্যাথলেটিক্সের মতো ইভেন্ট থেকেও পদকের আশা করা হচ্ছে।
বুধবার রাতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অলিম্পিকের রুপো জয়ী শু্যটার বিজয় কুমার জাতীয় পতাকা হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২১৫ জনের ভারতীয় দলের। যাঁদের মধ্যে বৃহস্পতিবার প্রথম লড়াইয়ে নামছেন জুডোকা এবং ভারোত্তোলোকেরা।
মাঠে নেমে পড়বে ভারতের মহিলা হকি দলও। বৃহস্পতিবার যারা অভিযান শুরু করতে চায় কানাডার বিরুদ্ধে জয় দিয়ে। কমনওয়েলথ গেমসে ২০০২ এবং ২০১০-এ কানাডাকে হারিয়েছিল ভারত। দু’বছর আগে দুই পক্ষের শেষ সাক্ষাতেও ভারত জেতে ৪-০। স্বাভাভিক ভাবেই বিশ্বের ২২ নম্বর টিমের বিরুদ্ধে নামার আগে বিশ্বের ১৩ নম্বর ভারতের কোচ নিল হ্যাগউডের গলায় আত্মবিশ্বাস। তবে গ্লাসগো আসার আগে আগেই মালয়েশিয়ায় গিয়ে জিতে আসা ভারতীয় মেয়েদের অতি-আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার ব্যাপারে সাবধান করছেন কোচ। বলেছেন, “আমাদের দলটা তরুণ। মালয়েশিয়ায় মেয়েদের পারফরম্যান্স দেখার পর আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, এখানেও ওরা কিছু করে দেখাবে। তবে প্রথম ম্যাচে কানাডাও নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া থাবে। তাই অতি-আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়লে চলবে না।” পুল-এ তে ভারতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অবশ্য বিশ্বের ১১ নম্বর টিম দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ছাড়াও নিউজিল্যান্ড এবং ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো রয়েছে ভারতের পুলে।
এ দিকে, গেমস শুরুর আগেই প্রতিযোগিতা থেকে এ দিন ছিটকে গেলেন ভারতের দুই অ্যাথলিট। ঘটনাক্রমে যাঁরা দু’জনেই সচিন। প্রথম জন সচিন রবি, ৪×৪০০ রিলে দলের সদস্য। তাঁর ডন্ডিস ধরা পড়েছে। গ্লাসগোতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন তাঁকে। অন্য জন প্যারা অ্যাথলিট সচিন চৌধুরীর বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ফিরে আসছেন।