শনিবারের সান্ধ্য বৈঠকে ওড়িশা-বধের ছক তৈরি

সামনের দিকে তাকিয়েই লক্ষ্মীরতন শুক্লকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে— এমনই ব্যাখ্যা বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ও কোচ সাইরাজ বাহুতুলের। ওড়িশার বিরুদ্ধে নামার আগে কোনও অপ্রীতিকর ছায়া বাংলা শিবিরে পড়তে দিতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে তাই ক্রিকেটারদের ফোকাস ঠিক রাখতে শনিবার সন্ধ্যায় তাঁদের নিয়ে গোপন বৈঠকেও বসে পড়তে হল কোচকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:২৭
Share:

কঠিন পরীক্ষার সামনে সাইরাজ-মনোজ।

সামনের দিকে তাকিয়েই লক্ষ্মীরতন শুক্লকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে— এমনই ব্যাখ্যা বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ও কোচ সাইরাজ বাহুতুলের।

Advertisement

ওড়িশার বিরুদ্ধে নামার আগে কোনও অপ্রীতিকর ছায়া বাংলা শিবিরে পড়তে দিতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে তাই ক্রিকেটারদের ফোকাস ঠিক রাখতে শনিবার সন্ধ্যায় তাঁদের নিয়ে গোপন বৈঠকেও বসে পড়তে হল কোচকে।

বাংলা শিবিরে একটা যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব আছে ঠিকই। কিন্তু তার থিমটা শুধু যে বিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়া, তা নয়। নিজেদের সমস্যা মেটানোর লড়াইও তাতে মিশে।

Advertisement

নির্বাচনী বৈঠকের দু’দিন পরও লক্ষ্মীরতন শুক্লর বাংলা দল থেকে বাদ পড়ার ঘটনার উত্তাপ কমেনি। শনিবার কল্যাণীতে প্র্যাকটিসের পর যা ঠান্ডা করার জন্য মনোজ তিওয়ারি মাঠে হাজির সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘লক্ষ্মীভাইয়ের চোট ছিল বলেই ওকে দলের বাইরে রাখতে হয়েছিল। ওর জায়গায় সায়নশেখর মণ্ডলকে দলে আনা হয়। সায়নশেখর যথেষ্ট ভাল খেলছে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশের সঙ্গে ভালভাবে মানিয়েও নিয়েছে। তাই ওর কথাই এখন বেশি ভাবতে হচ্ছে আমাদের।’’ কোচেরও একই তত্ত্ব। তাঁরও বক্তব্য, ‘‘সায়ন তো ভালই করছে। ওকে দুম করে বসিয়ে দিই কী করে বলুন। ড্রেসিংরুমে এত ভাল পরিবেশ। এগোতে গেলে এই স্পিরিটটা ধরে রাখতে হবে।’’

কল্যাণীর ঘূর্ণি উইকেটে যাতে শুধু সরাসরি জয় নয়, আসে বোনাস পয়েন্টও, সে জন্য স্পিন-অস্ত্রে শান দিচ্ছে বাংলা শিবির। শনিবার থেকে তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেল জোর কদমে। তবে শোনা গেল, তিন স্পিনারে না খেলে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নামার ব্যাপারে ব্যাপারে নাকি বেশি উৎসাহী কোচ সাইরাজ। প্রজ্ঞান ওঝা ও আমির গনি জুটির উপর তাঁর এতটাই ভরসা যে, এই দু’জনই যথেষ্ট বলে মনে করছেন তিনি। বরং একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান রাখলে আরও বেশি রান উঠবে বলে মনে করেন তিনি।

সকালে ঘন্টা তিনেক প্র্যাকটিসের পর শনিবার সন্ধ্যায় টিম মিটিংয়ে বসেন বাহুতুলে। এই বৈঠকেই নিজের এই ধারণার কথা দলের ছেলেদের জানান তিনি। ব্যাটসম্যান ও বোলারদের নিয়ে আলাদা করে বসেছিলেন তিনি। তাতে তাঁদের আলাদা আলাদা দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেল। শনিবারের এই সান্ধ্য বৈঠক ক্রিকেটারদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন কোচ। যেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল দলের ম্যানেজারেরও। শোনা গেল, এই বৈঠকে ক্যাপ্টেন মনোজ নাকি সবাইকে বলেছেন, এমন একটা কঠিন সময়ে, যেখানে বাংলার নক আউটে যাওয়ার লড়াই সামনে, সেখানে টিমস্পিরিট ধরে রাখাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

এ দিন নেটে বল করেননি অশোক দিন্দা। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিনি এ দিন বিশ্রাম নিয়েছেন। এক সাপোর্ট স্টাফ বলেন, ‘‘ম্যাচে ওকে প্রচুর বল করতে হয় বলে কোচ নেটে প্রায়ই ওকে বিশ্রাম দেন। ভারতীয় দলেও এই নিয়মটা মেনে চলা হয়। এটা ওর পক্ষেই ভাল।’’

শোনা গেল, যে রকম উইকেট তৈরি করা হয়েছে কল্যাণীতে, তাতে নাকি মনোজদের বোনাসের ইচ্ছাও পূরণ হয়ে যেতে পারে। বাংলা শিবির এখন তাই মাঠের লড়াইয়ের দিকেই তাকিয়ে। অন্য কোথাও নজর নেই মনোজদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement