আপাতত স্বস্তিতে অধিনায়ক লক্ষ্মী।
ত্রিপুরাকে আট উইকেটে হারিয়ে ফের বিজয় হাজারে ট্রফির মূলপর্বে ওঠার দৌড়ে চলে এল বাংলা। তবে শুক্রবার অসমকে হারাতে না পারলে এই জয় বিফলে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।
এ দিন ঝাড়খণ্ড অসমের বিরুদ্ধে সাত উইকেটে জয় না পেলে অবশ্য বাংলা আরও বড় সমস্যায় পড়ে যেত। তবে তা শেষ পর্যন্ত হয়নি। ও দিকে সৌরভ তিওয়ারির দল যেমন অনায়াসে অসমকে হারিয়ে মূলপর্বে জায়গা পাকা করে নিল, তেমন বাংলাও এ দিন সহজেই হারাল ত্রিপুরাকে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ত্রিপুরা ১৯৯-এ অল আউট। জবাবে বাংলা মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে এই রান তুলে ফেলে ৪১ বল বাকি থাকতে। দিন্দা তিনটি ও বীরপ্রতাপ, ইরেশরা দু’টি করে উইকেট নেন। ঋদ্ধিমান সাহাকে পাঁচে নামিয়ে দলের মিডল অর্ডারকে আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশে এদিন সৌরাশিস লাহিড়ীকে ওপেন করতে নামিয়ে পরীক্ষা করে টিম ম্যানেজমেন্ট।
পরীক্ষাটা সফলই হয়েছে বলে মনে করেন ক্যাপ্টেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বলেন, “আমাদের মিডল অর্ডার আরও শক্তিশালী হওয়া দরকার বলেই এটা করা। পরের ম্যাচেও হয়তো এমনই ব্যাটিং অর্ডার থাকবে।” এ দিন অবশ্য ঋদ্ধিকে ব্যাট হাতে নামতে হয়নি। তার আগেই শ্রীবৎস গোস্বামী (৮৪), সুদীপ চট্টোপাধ্যায়রা (৭১) রান তুলে দেন। ওপেনার সৌরাশিস ৩১ করেন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল। সন্ধ্যায় রাঁচি থেকে ফোনে বললেন, “সবাই ভাল খেলেছে, এটাই বড় কথা। এবার শেষ ম্যাচ জিততেই হবে আমাদের।” এ দিন ম্যাচ জেতার পরের মুহূর্ত থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে শুক্রবারের ম্যাচ নিয়ে চিন্তা। ঝাড়খন্ড তিন ম্যাচে দশ পয়েন্ট পেয়ে মূলপর্বে। এ দিন জয়ের পর বাংলা তিন ম্যাচে আট। বাংলা-অসম ও ঝাড়খন্ড-ওড়িশা ম্যাচ বাকি। অসমকে হারাতে পারলে তবেই নিজেদের মাঠে মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাবে বাংলা।