শাপমুক্তির পরে। রোলাঁ গারোয় নাদাল। ছবি: রয়টার্স
ফরাসি ওপেনে তাঁর ‘বত্রিশ নম্বর’ নিয়ে অঘটন প্রত্যাশীদের হতাশ করলেন রাফায়েল নাদাল। বরং স্বদেশি ডেভিড ফেরারের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার পথে বত্রিশের গাঁট যে দাপটে পেরোলেন, তাতে শীর্ষ বাছাইয়ের পিঠের ব্যথা নিয়ে নতুন করে শুরু চর্চাটা পিছনের সারিতে। নিজের আঠাশতম জন্মদিনের চব্বিশ ঘণ্টা আগে ফিলিপ শাতিয়ের কোর্টে সার্বিয়ার দুসান লাজোভিচকে ৬-১, ৬-২, ৬-১ গুঁড়িয়ে রোলাঁ গারোর শাপমোচন হল নাদালের।
এর আগে টানা একত্রিশ ম্যাচ জেতার পর ফরাসি ওপেনে একমাত্র পরাজয়ের স্বাদ পান ২০০৯-এ। তবে তার পর থেকে আর হারেননি। এ দিন টানা বত্রিশ ম্যাচ জিতে নিজের পুরনো রেকর্ড ভেঙে গড়লেন নতুন নজির। টানা পাঁচ বার রোলাঁ গারোর শেষ আটে যাওয়াটাও রেকর্ড। জিতে নাদাল বলেন, “আজ প্রতিটা পয়েন্ট বেস লাইন থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। শেষ আটে পৌঁছে এটাই আমার কাছে আসল ব্যাপার।” শেষ আটে নাদাল বনাম ফেরার কার্যত গত বছরের ফাইনালের রিপ্লে। ফেরার এ দিন দক্ষিণ আফ্রিকার কেভিন অ্যান্ডারসনকে হারালেন ৬-৩, ৬-৩, ৬-৭ (৫), ৬-১। ফরাসি জো-উইলফ্রেড সঙ্গাকে ৬-১, ৬-৪, ৬-১ উড়িয়ে শেষ আটে পৌঁছনো দ্বিতীয় বাছাই নোভাক জকোভিচের সামনে অষ্টম বাছাই মিলোস রাওনিক। রজার ফেডেরার ঘাতক আর্নেস্ট গুলবিসের লড়াই টমাস বার্ডিচের সঙ্গে। অ্যান্ডি মারে আবার গতকালের সাড়ে চার ঘণ্টার ম্যাচের পর নেমেছিলেন স্পেনের ফের্নান্দো ভের্দাস্কোর বিরুদ্ধে। জিতলেন ৬-৪, ৭-৫, ৭-৬(৭-৩)। শেষ আটে মারের প্রতিপক্ষ ফরাসি গেইল মঁফিস।
এ দিকে, মেয়েদের শেষ আটে মারিয়া শারাপোভার সামনে স্পেনের জায়েন্ট কিলার গার্বাইন মুগুরুজা। ইতালির সারা ইরানির লড়াই জার্মান আন্দ্রিয়া পেটকোভিচের সঙ্গে। অভিজ্ঞ কার্লা সুয়ারেজ নাভারোর সামনে আঠারো নম্বর বাছাই কানাডার ইউজিন বোচার্ড। চতুর্থ বাছাই সিমোনা হালেপের সামনে সাতাশ নম্বর বাছাই এবং ২০০৯-এর চ্যাম্পিয়ন শ্বেতলানা কুজনেৎসোভা।