উচ্ছ্বসিত। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে সাইনা ও কাশ্যপ। রবিবার লখনউয়ে। ছবি: পিটিআই
বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে বছর শুরু সাইনা নেহওয়ালের।
রবিবার সইদ মোদী আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ টানা দু’বার জিতলেন তো বটেই। জিতলেন ২০১৪-র বিশ্ব এবং ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন স্পেনের কার্লোইনা মারিনকে হারিয়ে। ম্যাচ শেষে সাইনা বলছিলেন, “গত বারও জিতেছিলাম। তাই এ বার চাপটা একটু বেশি ছিল। যাই হোক, ট্রফিটা হাতে নিয়ে এখন পুরোপুরি টেনশনমুক্ত আমি। বছরটা দারুণ শুরু হল।”
বিশ্বের তৃতীয় নম্বর সাইনা এ দিন প্রথম গেমে ১৯-২১ পিছিয়ে পড়েন। পরের দু’টো গেমে অবশ্য অসম্ভব লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দেন তিনি। মারিনকে শুধু ২৫-২৩, ২১-১৬ গেমে হারালেন-ই না, স্প্যানিশ তারকার বিরুদ্ধে নিজের একশো শতাংশ জেতার রেকর্ড ধরে রাখলেন। প্রসঙ্গত, মোট তিন বারের সাক্ষাতে মারিন একবারও হারাতে পারেননি হায়দরাবাদী তরুণীকে। সাইনা বলছিলেন, “সোনার মুকুটটা আমার কাছে খুব জরুরি ছিল। আশা করছি, পরের টুর্নামেন্টগুলোতেও ভাল রেজাল্ট হবে। সাফল্য সঙ্গে থাকলে আত্মবিশ্বাস এমনিতেই বেড়ে যায়।”
এ দিন মেয়েদের ফাইনালে উত্তেজনার কোনও অভাব ছিল না। প্রথম গেমে ১৬-১২ এগিয়ে থেকেও ১৯-২১ হারতে হয় তাঁকে। পরের গেমও প্রায় একই দিকে গড়াতে থাকে। ১০-৬ এগিয়ে থাকা ম্যাচ হয়ে যায় ১৫-১২ হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ। তবে পর পর দু’টো ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে দারুণ কামব্যাক করেন সাইনা। যা অবশেষে সইদ মোদীর সোনার মুকুট তুলে দেয় হায়রাবাদীর মাথায়। সাইনা বলছিলেন, “হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হলেও, দারুণ উপভোগ করেছি আমি। এ রকম ফাইনাল জিতলে খুশিটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। অনেক দিন মনে থাকবে ম্যাচটা।”
তবে মেয়েদের ম্যারাথন ফাইনাল এক ঘণ্টা উনিশ মিনিট ধরে চললেও, মাত্র বাহান্ন মিনিটে স্ট্রেট গেমে টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই কিদম্বি শ্রীকান্তকে হারালেন ছেলেদের তৃতীয় বাছাই পারুপল্লি কাশ্যপ। বাবু বেনারসী দাস ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এ দিন ২৩-২১, ২৩-২১ গেমে জিতলেন কাশ্যপ।