গোললাইন প্রযুক্তির প্রথম ব্যবহার। হন্ডুরাস গোলকিপারের হাত ফসকে বল ঢুকছে গোলে। ছবি: এএফপি
বিতর্ক এক। ফ্রান্সের দ্বিতীয় গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের গোড়ায় করিম বেঞ্জিমা হন্ডুরাসের ডিফেন্স কাটিয়ে ডান দিকের পোস্ট ঘেঁষে শট নেন। পোস্টে বল লেগে গোলকিপারের হাত ছুঁয়ে ড্রপ পড়ে গোল লাইন পেরিয়ে। প্রথমে অবশ্য বোঝা যায়নি গোল হয়েছে কি না। ফিফা বিশ্বকাপে প্রথম গোল লাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানিয়ে দেয়, ওটা গোলই। তবে আত্মঘাতী। কিন্তু হন্ডুরাসের কোচ লুইস সুয়ারেজ কিছুতেই তা মানতে পারছেন না। বিতর্ক মেটাতে গোললাইন প্রযুক্তি আনার কথা ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করেছিল ফিফা। কিন্তু তার প্রথম ব্যবহার ঘিরেই বিতর্ক জুড়ে থাকল।
বিতর্ক দুই। ম্যাচের আগে রহস্যজনক কারণে জাতীয় সঙ্গীত বাজেনি। দু’দলের ফুটবলাররা দাঁড়িয়ে থাকার পরও। ফিফার তরফ থেকেও এর সরকারি কোনও ব্যখ্যা পাওয়া যায়নি।
তবে যতই বিতর্ক থাক, ব্রাজিল বিশ্বকাপে অভিযানের শুরুতে হন্ডুরাসকে হারাতে অবশ্য ফ্রান্সের বিশেষ সমস্যা হল না। চলতি বছরের গোড়ায় ফরাসি টিভি হন্ডুরাস ফুটবল টিম নিয়ে একটা অনুষ্ঠান প্রচার করেছিল। ‘লা মিসারেবল’। যেটা হন্ডুরাসের প্লেয়াররা ভাল ভাবে নেয়নি। মাঠেই জবাবটা দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়েই নেমেছিল হন্ডুরাস। কিন্তু হন্ডুরাসের কপাল খারাপ। দিনটা লেখা ছিল করিম বেঞ্জিমার নামে। তিনটে গোলই এল তাঁর পায়ে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পোগবাকে বক্সে ফেলে দিয়ে উইলসন পালাসিও লালকার্ড (দ্বিতীয় হলুদ কার্ড) দেখেন। পেনাল্টি থেকে ফ্রান্সের প্রথম গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে দুটো গোলেও পুরো কৃতিত্ব রিয়াল মাদ্রিদের তারকার। এই নিয়ে দেশের জার্সিতে শেষ সাত ম্যাচে আটটা গোল করে ফেললেন।
তবে ইয়োহান কাবায়ে যে ভাবে দ্রুত মাঠা ছেড়ে উঠে গেলেন সেটা দিদিয়ের দেশঁকে চিন্তায় রাখতে পারে।