মোহনবাগান-০
সালগাওকর-০
হতাশা বা আক্ষেপ নয়! রীতিমতো ক্ষোভ শিল্টন-বলবন্ত-ডেনসনদের গলায়!
সালগাওকরের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর রেফারি সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার সবুজ-মেরুন শিবির। অভিযোগ, বাগানের ন্যায্য গোল বাতিল করেছেন কেরলের এই রেফারি।
ম্যাচের পর গোয়া থেকে ফোনে উত্তেজিত বলবন্ত বলছিলেন, “আমার সঙ্গে গোলকিপার সুব্রত পালের কোনও ‘টাচ’ই হয়নি। রেফারি কী করে ফাউল দিলেন?”
ঘটনাটি ঘটে দ্বিতীয়ার্ধে ১৪ মিনিটে। একটা সেভ করতে গিয়ে বল সুব্রতর হাতে লেগে গোলে ঢুকে যায়। বলবন্ত তখন সুব্রতর সামনে দাঁড়িয়ে। টিভি রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে, পরিষ্কার গোল। কিন্তু রেফারি গোল দেননি। বলবন্তের ফাউলের অভিযোগে।
মোহনবাগানের তরফে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে ফেডারেশন এবং ম্যাচ কমিশনারের কাছে। বাগান টিম ম্যানেজার সঞ্জয় ঘোষ ফোনে বললেন, “আমরা দু’ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবাদপত্র পাঠাচ্ছি ফেডারেশন আর ম্যাচ কমিশনারের কাছে।” মোহন কোচ সঞ্জয় সেন বিরক্ত গলায় বললেন, “সবই তো আপনারা টিভিতে দেখেছেন। লাইন্সম্যান ফাউলের জন্য ফ্ল্যাগও তোলেননি। রেফারি অকারণে গোল বাতিল করে দিলেন। এটা কি মেনে নেওয়া যায়? রেফারির জন্যই তিন পয়েন্ট হাতছাড়া হল আমাদের।”
এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল মোহনবাগান। সনি, মণীশ ভার্গব কাতসুমিরা সালগাওকর রক্ষণে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। ম্যাচের শুরুতেই সনি নর্ডি সহজ সুযোগ নষ্ট করে বসেন। বলবন্ত, কাতসুমি, মণীশও যে ভাবে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন, সেগুলো জালে গেলে হয়তো সালগাওকরকে তিন-চার গোলে হারাতেই পারত মোহনবাগান। পূরণ হত ফেড কাপের ১-৪ হারের বদলা নেওয়াও। কিন্তু সে সব কিছুই হল না। সঞ্জয় বলছিলেন, “গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল না হওয়ার রোগটাই এই মুর্হূতে টিমের সবচেয়ে বড় সমস্যা। ভাল খেলার পরেও তাই এক পয়েন্ট নিয়েই ফিরতে হচ্ছে।”
সালগাওকরকে দেখে মনে হচ্ছিল, ড্র করার লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছে। ডুহু পিয়েররা পাল্টা আক্রমণে দু’-একবার ওঠার চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই, তবে গঠনমূলক আক্রমণ করে উঠতে পারেননি। সালগাওকর কোচ ডেরেক পেরেরা বললেন, “মোহনবাগানের মতো টিমের বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট খারাপ নয়।” অথচ কয়েক সপ্তাহ আগেই সঞ্জয় সেনের দলকে চার গোল মেরেছিল সালগাওকর। এ দিন কী তবে বিপক্ষের ন্যায্য গোল বাতিল হয়েছে বুঝে ঘরের মাঠে এক পয়েন্ট পেয়েই খুশি ডেরেক?
মোহনবাগান: শিল্টন, প্রীতম, বেলো, শৌভিক, কিংশুক, ডেনসন (শেহনাজ), বিক্রমজিৎ, মণীশ (সাবিত), কাতসুমি, বলবন্ত (জেজে), সনি।