যুবরাজ ২৯ বলে অপরাজিত ৬৮
ফের শেষ ওভারে ধোনির ছয় এবং চেন্নাইয়ের জয়। এই নিয়ে পরপর তিন বার। শেষ তিন ম্যাচের দু’টিতেই শেষ ওভারে জেতার জন্য এগারো রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের ও প্রতিবারই ক্রিজে ধোনি। এ দিন এগারো নয়, দরকার ছিল বারো। তাও রাঁচিতে অনায়াসে রাজস্থান রয়্যালসের ১৪৮ রান তাড়া করে দলকে পাঁচ উইকেটে জিতিয়ে দিলেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক।
তবে চেন্নাই ম্যাচ শেষ হওয়ার ঘণ্টা খানেক পর শুরু হওয়া দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ডেথ ওভারে ব্যাটে ঝড় তোলায় সিএসকে ক্যাপ্টেনকে টেক্কা দিয়ে গেলেন আর এক ছক্কা বিশারদ। দিল্লির বোলিং নিয়ে আক্ষরিক অর্থেই নয়-ছয় করলেন বেঙ্গালুরুর যুবরাজ সিংহ। তাঁর ২৯ বলে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে এ দিন থাকল ৯টি ছয় এবং একটি বাউন্ডারি। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টারও বেশি পরে শুরু হয় ম্যাচ। কিন্তু মাত্র ৪৫ রানের মধ্যে ক্রিস গেইল (২২) এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে (১০) হারালেও যুবরাজের ব্যাটিং-ঝড়ে ভর দিয়ে কুড়ি ওভারে ১৮৬ তোলে বেঙ্গালুরু। শেষ ওভারে চারটি ছয় মারেন যুবরাজ।
১৮৭ তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই মুরলী বিজয়কে হারায় দিল্লি। দ্বিতীয় ওভারে শেষ বলে ডি’ককও ফিরে যাওয়ার সামান্য চাপে পড়েছিল দিল্লি। তবে মায়াঙ্ক অগ্রবাল (৩১) ও অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন (৩৩) ইনিংসে স্থিরতা ফেরান। এই দু’জনের পর মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিলেন জেপি দুমিনি। ৩০ বলে ৪৮ করে স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে তিনি ফেরার সময়েই বেঙ্গালুরুর জয় এক রকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। সাত উইকেট হারিয়ে দিল্লি ইনিংস শেষ হয় ১৭০ রানে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ যুবরাজ বলেও যান, “আমাদের ভাল ভাবে শেষ করাটা খুব দরকার ছিল। আমি নিজের শুরুটা ভাল করেছিলাম। নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। টিমের সিনিয়ররাও আমার উপর বিশ্বাস রেখেছিল। আমি এমন একটা জায়গায় খেলতে চেয়েছিলাম যেখানে আমি নিজের মতো খেলতে পারব। বিজয় মাল্যকে সে জন্য ধন্যবাদ।”
অন্য দিকে, শেন ওয়াটসন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে দশ ওভারে ৮৪-১ তোলার পরও যে রাজস্থানের এই হাল হবে, তা ভাবা যায়নি। দল একশোয় পৌঁছনোর এক রান আগে ওয়াটসন মোহিত শর্মার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যাওয়ার পরই তাদের ইনিংসে ধস নামে। ১৪৮-এই শেষ হয়ে রাজস্থান। যা নিয়ে পরে ওয়াটসন বলে গেলেন, “এই উইকেটে এই রান নিয়েও লড়া যায়।” ধোনিও সেটা স্বীকার করে বললেন, “এই উইকেটে ওভারে ১০-১২ করে রান তোলা খুব কঠিন।”