Vajrasana Benefits

অ্যান্টাসিড খেয়েও হজমের সমস্যা কমছে না? নিয়ম মেনে রোজ অভ্যাস করুন বজ্রাসন

ঠিক নিয়ম মেনে যোগাসন করলে তবেই মিলবে ফল। হজমের সমস্যা দূর করতে কোন কোন আসন করতে পারেন, খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন। রইল আসন আসান করার পদ্ধতির হদিস। আজ শিখে নিন বজ্রাসন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৯
Share:

চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।

হজমের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। বাঙালি যেমন ভোজনরসিক, তেমনই পাল্লা দিয়ে পেটরোগাও। ‘পেটরোগা বাঙালি’ তকমা তাই আজকের নয়। কখনও একটু বেশি খেয়ে ফেললে কিংবা তেল-মশলার পরিমাণ সামান্য এ দিক-ও দিক হলেই হজমের সমস্যায় পড়েন অনেকেই। তাই মুঠো মুঠো মুখশুদ্ধি, নয়তো অম্বলের ওষুধই ভরসা! তাতেও লাভ হয় না অনেকের। বাড়িতে আধ ঘণ্টা সময় বার করে যোগাসন অভ্যাস করতে পারেন। কেবল রোগা হওয়াই নয়, শরীরের নানা সমস্যার সমাধানও কিন্তু হতে পারে নিয়ম করে যোগাসন করলে। সঠিক নিয়ম মেনে যোগাসন করলে তবেই মিলবে ফল। হজমের সমস্যা দূর করতে কোন কোন আসন অভ্যাস করতে পারেন, খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন। রইল আসন আসান করার পদ্ধতির হদিস। আজকের আসন বজ্রাসন।

Advertisement

কী ভাবে করবেন?

· ম্যাটের উপর হাঁটু গেড়ে মেরুদণ্ড টান টান করে বসুন। নিতম্ব থাকুক গোড়ালির উপর। পায়ের আঙুলে বেশি চাপ দেবেন না।

Advertisement

· এ বারে হাঁটুর উপরে হাত রাখুন। এই অবস্থানে পিঠ ও মাথা একই সরলরেখায় রাখার চেষ্টা করুন। তবে এই ভাবে থাকার জন্য যাতে বাড়তি চাপ না পড়ে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই অবস্থানে মেরুদণ্ড কিছুটা ধনুকের মতো বেঁকে থাকবে। কিন্তু বেশি বাঁকালে চাপ পড়বে, খেয়াল রাখবেন।

· এ বারে চোখ বন্ধ করে হাত-সহ সারা শরীর শিথিল করুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। নাক দিয়েই শ্বাস নেবেন, মুখ দিয়ে নয়।

· এই অবস্থায় দু’মিনিট থেকে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত থাকার চেষ্টা করুন। পরে সময় আরও বাড়ানো যেতে পারে। শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, মনে মনে গুনে ১৫–২০ বার শ্বাস নিন।

· তার পর চোখ খুলুন। পা সোজা করে ছড়িয়ে দিন, দরকার হলে গোড়ালি নাড়াচাড়া করে নিন।

সতর্কতা

আসন করার সময় যদি ঊরুতে ব্যথা হয়, গোড়ালির দূরত্ব সামান্য বাড়িয়ে নিতে পারেন। আসন শুরু করলে অনেকের গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে একটা নরম ও পাতলা বালিশ বা পাট করা চাদর গোড়ালির উপর রাখতে পারেন।

কেন করবেন?

বজ্রাসন অভ্যাস করলে শ্রোণিচক্র, অর্থাৎ তলপেট ও কোমরের নিচের দিকে রক্ত চলাচলের মাত্রা বাড়ে। স্নায়ুর কার্যকারিতা বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে এই অঞ্চলের পেশি সুদৃঢ় করতেও সাহায্য করে বজ্রাসন। হার্নিয়া, অর্শ বা পাইলসের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আসন। হাইপার অ্যাসিডিটি ও পেপটিক আলসারের মতো সমস্যা দূর করে হজমশক্তি বৃদ্ধি করতেও বজ্রাসন উপকারী। মেয়েদের ঋতুচক্রের সমস্যা দূর করতে ও স্বাভাবিক প্রসব হতে সাহায্য করে এই আসন। নিয়মিত বজ্রাসন অভ্যাস করলে কোনও বাড়তি চেষ্টা ছাড়াই মেরুদণ্ড সোজা থাকে। সায়াটিকা ও স্যাক্রাল সংক্রমণ প্রতিরোধেও এই আসন কাজে আসে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement