ঘরে ফেরা। রবিবার ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে কোলাসো। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
আইকন ফুটবলার হিসেবে ত্রিনিদাদ টোবাগোর ডেঞ্জিল থিওবল্ডই প্রথম পছন্দ ইস্টবেঙ্গল কোচ আর্মান্দো কোলাসোর।
রবিবার সন্ধ্যায় লাল-হলুদ কর্তাদের সঙ্গে দল গঠন, বিদেশি নির্বাচন, প্রাক-মরসুম অনুশীলন নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন গোয়ান কোচ। সে সময় কর্তাদের আর্মান্দো থিওবল্ডের কথা বলেন। যুক্তি দেখান, “ডেম্পোতে র্যান্টির সঙ্গে খেলেছেন থিওবল্ড। ওকে নেওয়া হলে দু’জনের বোঝাপড়া ভাল হবে।”
থিওবল্ডের সঙ্গে গোয়ান কোচের একপ্রস্ত কথাও হয়েছে। ত্রিনিদাদ টোবাগোর বিশ্বকাপার জানিয়েছেন, তিনি এখন ফাঁকা আছেন। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলে দিলেন, “থিওবল্ডের সঙ্গে কোচকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত হাতে সময় আছে। এখন দু’জন বিদেশি থাকবে।” আর্মান্দোরও যুক্তি, “শিল্ড বা ঘরোয়া লিগে দু’জনের বেশি বিদেশি খেলানো যাবে না। তাই নভেম্বরে আইকন ফুটবলার নিলেই হবে।” তাঁর মাথায় অবশ্য আজের্ন্তিনার প্রাক্তন বিশ্বকাপার ক্রেসপোর মতো ফুটবলারের নামও রয়েছে। তবে লাল-হলুদ কোচের প্রথম পছন্দ থিওবল্ড।
পিটার কার্ভালহো, ডেঞ্জিল ফ্রাঙ্কো, লেনিদের নেওয়ার জন্য আর্মান্দো কর্তাদের কাছে আবারও অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি উগা ওপারাকে ধরে রাখতেও বদ্ধপরিকর। বলেও দিয়েছেন, “উগা ওপারা ভাল ফুটবলার। ওর জন্য অপেক্ষা করাই যায়।” উল্লেখ্য, চোটের জায়গায় অস্ত্রোপচারের পর উগা কতটা ফিট হয়ে উঠতে পারেন, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন ক্লাব-কর্তারাও।
আই লিগ আর ফেড কাপকে ধরেই মরসুমের শুরু থেকে নিজের পরিকল্পনাও ছকে ফেলেন আর্মান্দো। তাঁর ইচ্ছে ছিল, বিশ্বকাপের পর ১৫ জুলাই থেকে অনুশীলন শুরু করার। সকালে বলেও দিয়েছিলেন, “জুলাইয়ে শিল্ড হলে ক্লাব-কর্তাদের অনুরোধ করব, শিল্ড না খেলার জন্য। ওই সময় প্রি-সিজন করব। তবে শিল্ড পরে হলে খেলতে অসুবিধে নেই।” কিন্তু পরে কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর কিছুটা হতাশ গলাতেই বললেন, “জুনিয়ররাই মূলত শিল্ড খেলবে। তবে এই শিল্ডের জন্য এত আগে প্রি-সিজন শুরু করতে হচ্ছে, যেটা আমার পরিকল্পনাতেই ছিল না।” ১৮ জুন থেকে নিজেদের মাঠে অনুশীলন শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল। অনুশীলন শুরুর এক সপ্তাহ বাদে কল্যাণীতে আবাসিক শিবির। এ দিকে ইয়ুথ ডেভলপমেন্টে জোর দিতে আর্মান্দোর কথামতো কর্তারা ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব-১৯ এবং টিএফএ থেকে মোট দশ জনকে সই করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নিজে আইএসএলের কোচিং করানোর জন্য ক্লাবের কাছে দু’মাসের ছুটির শর্ত রেখেছিলেন। যা নিয়েই সংঘাত বেধেছিল কর্তাদের সঙ্গে। সেই আর্মান্দোই এ দিন জানিয়ে দিলেন, আইএসএলের জন্য তিনি ফুটবলার ছাড়তে রাজি নন। কারণ হিসেবে দেখাচ্ছেন ফুটবালরদের চোট-আঘাত সমস্যা। “ক্লাবকে বলব, আইএসএলে যেন ফুটবলার না ছাড়ে। সে সময় গোয়া বা শিলিগুড়িতে অনুশীলন ম্যাচ খেলব। র্যান্টি বা অন্য কারও চোট লাগলে তার দায় তো আবার আমার হবে।” তবে ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বললেন, “আইএসএলে ফুটবলার ছাড়া হবে কি না, সেটা ক্লাব পরে কথা বলে ঠিক করবে।”