জোসিমার। আই লিগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা
মহমেডান: ৩ (লুসিয়ানো-পেনাল্টি, জোসিমার, নির্মল)
স্পোর্টিং ক্লুব: ১ (কাজেটান)
আড়াই মাসের যন্ত্রণা। তেরোর ‘অশুভ’ গণ্ডি। অবনমনের অদৃশ্য ছায়া।
যে ত্রিফলার আঘাতে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের অন্দরমহলে অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই তিন কালো হাত উপড়ে ফেললেন কোচ সঞ্জয় সেন। শুক্রবার যুবভারতীতে আই লিগের ‘সেকেন্ড বয়’-কে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টানা চার ম্যাচের অভিশাপ তো কাটালেন-ই, তেরোর গাঁট থেকে বের করে মহমেডানকে ষোলো পয়েন্টেও নিয়ে গেলেন। অবনমনের চোখরাঙানি থেকে কয়েক মাইল দূরে! এমনকী মেহরাজ লাল কার্ড দেখায় গোটা দ্বিতীয়ার্ধ দশ জনে খেলে!
এমন জয়ের পরেও দলের খেলায় সন্তুষ্ট নন মহমেডান কোচ। “আমার কোচিং জীবনের সবচেয়ে জঘন্য ম্যাচ। দু’গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরে যে ফুটবলটা খেলা উচিত ছিল, সেটা খেলতে পারিনি। বিপক্ষকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছি। সাইডলাইন থেকে বারবার চিৎকার করেও কোনও লাভ হয়নি। ফুটবলারদের সঙ্গে এ সব নিয়ে পরে কথা বলব,” বললেন জয়ী দলের কোচ!
সঞ্জয়ের আক্ষেপকে হয়তো পুরো উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। মহমেডান বড় ব্যবধানে জিতলেও শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা ছিল ম্যাচে। পঁচিশ মিনিটের মধ্যে লুসিয়ানোর পেনাল্টি ও জোসিমারের গোলে সাদা-কালো ব্রিগেড ২-০ এগিয়ে গেলেও, ব্যবধান কমিয়ে ২-১ করেন গোয়ার ক্লাবটির কাজেটান। লেফট উইংয়ে খেলা নবির উচিত ছিল তাঁকে কভার করা। সেই ভুলের খেসারত দিতে হয় পরেও। স্পোর্টিং আরও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। যা ঠেকাতে বিরতির ঠিক আগে বিভান ডি’মেলোকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন মেহরাজ। দ্বিতীয়ার্ধটা দশ জনে খেললেও ম্যাচ শেষের আট মিনিট আগে নির্মলের গোল সঞ্জয়ের সব দুশ্চিন্তা দূর করে।