খুব বেশি চেষ্টা করতে গিয়ে বারবার ভুল হচ্ছিল গত দু’দিন। তাই ঠিক করে নেন, কৌশল পাল্টে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন তৃতীয় রাউন্ডে। সেই টোটকাটাই দারুণ খেটে গেল! এ দিন চোখ ধাঁধানো ১০-আন্ডার ৬২ স্কোর করে অনির্বাণ লাহিড়ী আবার ফিরে এলেন মেব্যাঙ্ক মালয়েশিয়া ওপেনের লড়াইয়ে। দিনের শেষে খেতারের দৌড়ে এক নম্বরে থাকা অস্ট্রিয়ার বার্নড ওয়েইসবার্গারের থেকে পাঁচ শটে পিছিয়ে অনির্বাণ। তিনি গতকালের একুশতম স্থান থেকে উঠে এসেছেন পাঁচে।
অসাধারণ ছন্দে ফেরার পরে খেতাবের দিকেও নজর ফেরাচ্ছেন অনির্বাণ। বলেছেন, “রাউন্ডটা অনেক কিছু পাল্টে দিল। কাল শেষ রাউন্ডে এই রকম খেলতে পারলে অনেক অসম্ভবই সম্ভব হতে পারে।”
গত বছর ম্যাকাওয়ে জীবনের সেরা রাউন্ড খেলেন অনির্বাণ, স্কোর করেছিলেন ৬১। আজকের স্কোরটা তাঁর দ্বিতীয় সেরা। দিনের শেষে উচ্ছ্বসিত বেঙ্গালুরুর গল্ফার বলেন, “গত দু’দিন বার্ডির জন্য বড্ড বেশি মরিয়া ছিলাম। অতিরিক্ত চেষ্টা করতে গিয়ে বারবার ভুল হচ্ছিল। তাই ঠিক করেছিলাম আজ একদম ঠান্ডা মাথায় খেলব। শটগুলো লাইনে রাখার চেষ্টা করব। তার পর যা হওয়ার হবে।” আর নিজের উপর থেকে ভাল করার চাপটা সরিয়ে ফেলতেই এ বারের টুর্নামেন্টে সেরা স্কোরটা করে ফেলেন। আগের দুই রাউন্ডে ১১টা বার্ডি পেলেও পাশাপাশি ৯টা শট বোগি হয়েছিল তাঁর। আজ একটাও বোগি নেই।
কলকাতার শিবশঙ্কর প্রসাদ চৌরাসিয়ার দিনটাও ভাল গেল। প্রথম রাউন্ডে চার-ওভার ৭৬ স্কোর করার বিপর্যয় পরের দুই রাউন্ডে অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। পরপর ৬৮ এবং ৬৭ স্কোর করে তিনি চলে এসেছেন প্রথম কুড়ি জনের মধ্যে।