রবিবার থেকে ইডেনে মরসুমের প্রথম রঞ্জি শুরু হল। রবিবার থেকে বঙ্গ ক্রিকেটে নতুন বিতর্কও শুরু হয়ে গেল।
বোর্ডের দুর্নীতিদমন শাখার ‘বজ্রআঁটুনি’-তে আটকে গেলেন বাংলা নির্বাচক। ইন্দুভূষণ রায়কে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হল না। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রাক্তন বাংলা ক্রিকেটার বলে দিলেন, যতই পরিচয়পত্র তৈরি হোক, মাঠের মধ্যে রঞ্জির সময় আর ঢুকবেন না! সিএবির প্রেসিডেন্টস বক্সে বসে ম্যাচ দেখবেন, কিন্তু মাঠে নয়।
সকালে ম্যাচ চলাকালীন ইডেনের ভেতর ঢুকতে গেলে আটকানো হয় ইন্দুভূষণকে। বোর্ড এ মরসুম থেকে দুর্নীতিদমন শাখার ক্রিয়াকলাপ ঘরোয়া ক্রিকেটেও আমদানি করেছে। যেমন প্লেয়ার্স এরিনায় কেউ ঢুকতে পারবে না। মোবাইল অন রাখা যাবে না। ড্রেসিংরুমে নির্বাচকদেরও ঢোকার অধিকার নেই। ইডেনের ভেতর একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বাংলার নির্বাচকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু ম্যাচ রেফারি জানিয়ে দেন যে, নির্বাচকদের সচিত্র পরিচয়পত্র ড্রেসিংরুমের দরজার বাইরে সেঁটে রাখতে হবে। দেখে, ছাড়া হবে।
নির্বাচক প্রধান রাজু মুখোপাধ্যায় ও অলোক ভট্টাচার্যর পরিচয়পত্র তৈরি হয়েছিল। তাঁরা ঢুকেছেন। ইন্দুভূষণ এবং সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ দিনের আগে হয়নি। ইন্দুভূষণকে তাই ঢুকতেও দেওয়া হয়নি।
বোর্ডের নিয়মে দোষ দেখছেন না বঙ্গ নির্বাচক। বরং বলছেন, সিএবিই আগে থেকে কিছু জানায়নি। “এত দিন ইডেনে আসছি, এত বছর বাংলার হয়ে খেলেছি, আর আমাকে আটকে দেওয়া হল। গার্ডরা রোজ দেখছে, দেখছে নির্বাচকের টি শার্ট পরে আছি। তবু না,” সন্ধেতেও বিরক্ত ইন্দুভূষণ। সম্বরণও পরিচয়পত্রের কথা জানতেন না। বিতর্ক বাড়ছে দেখে এ দিন তাঁদের ছবি তুলে ড্রেসিংরুমের দরজায় সেঁটে দেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ইন্দুভূষণ বলে দিয়েছেন, “পরিচয়পত্র হোক বা না হোক, মাঠে আর ঢুকব না ম্যাচে। ক্লাবহাউসে বসে দেখব।”
সিএবি বলছে, দোষ তাদের নয়। রাজু এবং অলোক শনিবার টিমলিস্টে সই করতে সিএবি আসায় তাঁদের পরিচয়পত্র তখন করা হয়। ইন্দুভূষণরা এলে তাঁদেরও হত। “এটা নিয়ে এত হইচইয়ের কী আছে? আন্তর্জাতিক ম্যাচে তো নির্বাচককে ঢুকতেই দেওয়া হয় না মাঠে। এখানে তবু ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করা হয়েছে,” বলছেন যুগ্ম-সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু গণ্ডগোল নাকি আছে। সিএবির লোকই বলছে।
বোর্ডের ই-মেলটা নাকি তিন-চার দিন আগে এসেছিল। সিএবি দেখতেই ভুলে গিয়েছে!