ডোয়েন স্মিথ: ৪৩ বলে ৭২। মঙ্গলবার মিরপুরে। ছবি: এএফপি
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের দুর্দশা আর কাটছেই না। এশিয়া কাপে বিধ্বস্ত হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে হংকংয়ের কাছে হেরে সুপার টেন-এ এসেছিল মুশফিকুর রহিমের দল। কিন্তু সেখানে প্রথম ম্যাচেই মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে স্রেফ উড়ে গেল তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করে ১৭১-৭ তোলার পর বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়ে গেল মাত্র ৯৮ রানে। এ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে ক্রিস গেইল নন, ঝড় তুলেছিলেন ডোয়েন স্মিথ। ৪৩ বলে ৭২ রান করেন স্মিথ। গেইল সেখানে ৪৮ রান করতে ৪৮ বল নেন। ম্যাচে বাংলাদেশের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত ক্যারিবিয়ান ইনিংসের ২০তম ওভার। আল আমিনের করা শেষ ওভারে চার উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, চার রান তুলে। কিন্তু ও রকম নাটকীয় শেষ ওভারও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের তাতাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত কোনও রকম লড়াই ছাড়াই আত্মসমর্পণ করল বাংলাদেশের ব্যাটিং। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ম্যাচ জেতা ছাড়া উপায় ছিল না। ডারেন স্যামির দল শুধু ম্যাচই জিতল না, নেট রান রেটও অনেকটা বাড়িয়ে রাখল।
ক্যারিবিয়ান স্লো মিডিয়াম পেস এবং স্পিনের সামনে এ দিন ভেঙে পড়লেন তামিম ইকবালরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে সফল বোলার বদ্রী এবং সানতোকি। বদ্রী চারটে, সানতোকি তিনটে উইকেট পান। ১৬ রানের মধ্যেই বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন বদ্রী ও সানতোকি। মমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের পার্টনারশিপ ৩৫ রানের বেশি এগোয়নি। এর পর মাত্র তিন রানের মধ্যেই তিন-তিনটে উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। তখন থেকেই তাদের হারের মুহূর্ত গোনা শুরু হয়ে যায়। শেষ দিকে সোহাগ গাজি ও মাশরফি মোর্তুজা শেষ চেষ্টা করলেও সেই চেষ্টাও বিফলে যায়। শেষ পর্যন্ত সোহাগকে ফিরিয়েই ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই হার নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর বলেন, “ফিল্ডিং জঘন্য হয়েছে আমাদের। প্রচুর রান দিয়েছি যেমন, তেমনই ব্যাটিং আরও খারাপ হয়েছে। ১৭০ তাড়া করতে নামলে শুরুটা যতটা ভাল হওয়া দরকার, তার ছিটেফোঁটাও হয়নি আমাদের।” ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ডারেন স্যামি বলেন, “নেট রান রেটটা বাড়িয়ে নিতে পেরেছি আমরা, এটাই বড় ব্যাপার। শেষ চারে ওঠার ক্ষেত্রে এটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।”