গুরু-শিষ্য।
মাঝআকাশে গুরুর দেখা পেলে কেমন লাগে?
খুব খারাপ বোধহয় লাগে না। মহম্মদ শামি তো খরচ করে নিজের টিকিটটা বদলালেন!
ছাত্র কে, বোঝাই যাচ্ছে। গুরুতিনিও মোটে অপরিচিত নন। ওয়াসিম আক্রমকে কে না চেনে! মেলবোর্ন-ব্রিসবেন ফ্লাইটে যাঁর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল মহম্মদ শামির।
ব্রিসবেনে ফোন করে জানা গেল, ব্রিসবেনগামী ফ্লাইটে এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ছিলেন ভারতীয় পেসার। বাকি টিমের সঙ্গে। আক্রম ছিলেন বিজনেস ক্লাসে। শোনা গেল, আক্রমের ক্লাসে যেতে নিজেই বাড়তি খরচ করে বিজনেস ক্লাসের টিকিট করিয়ে নেন শামি। চলে যান আক্রমের পাশে। যিনি সিরিজের ধারাভাষ্যকার।
এবং ক্লাস চলল এক ঘণ্টার উপর।
সিডনি টেস্টে পাঁচ উইকেট পেলেও ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খুব ভাল যায়নি শামির। তার উপর চোট লেগে শেষ দিকে উঠেও যেতে হয়। গুরুকে আকাশপথে পেয়ে ছুটে যাওয়ার কারণও তাই সহজবোধ্য। এর আগেও বিভিন্ন সময় শামিকে টিপস দিয়েছেন প্রাক্তন পাকিস্তানি পেসার। তাতে উপকৃতও হয়েছেন বাংলা পেসার।
শোনা গেল, তাঁর চোট লাগলেও নাকি নামা নিয়ে তেমন অনিশ্চয়তা নেই। শামি নিজেই কাউকে কাউকে বলেছেন যে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পারবেন। কিন্তু রোহিত শর্মা তাঁর অবস্থা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার ম্যাচের দিন সকালে, রোহিত-শামিকে মাঠে আগে আসতে বলা হয়েছে। যেখানে ফিজিও এবং বোলিং কোচ থাকবেন। সেখানেই নাকি চূড়ান্ত দেখে নেওয়া হবে দু’জনের অবস্থা।
ব্রিসবেনে এ দিন আর প্র্যাকটিসের দিকে যাননি মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। রাতের দিকে টিম আবার গেল ব্রিসবেনের এক ভারতীয় রেস্তোরাঁয় ডিনার করতে। সঙ্গে আবার চেষ্টা চলছে, রবীন্দ্র জাডেজাকে যত দ্রুত সম্ভব সুস্থ করে তোলার। টিমের সঙ্গে থাকা কারও কারও মনে হচ্ছে, জাডেজা থাকলে ভারতের লোয়ার মিডল অর্ডারে যে গভীরতাটা থাকে, সেটা না থাকায় ভুগতে হচ্ছে টিমকে। ধোনির পরই ব্যাটসম্যান মোটামুটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। যা সমস্যা।
সমস্যা আরও একটা আছে। মৃদু হলেও আছে। সেটা ব্রিসবেনের আকাশ। সন্ধের পর থেকে নাকি প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হয়েছে, ওখানকার সময়ে রাত বারোটা পর্যন্ত যা থামেনি।