সাধারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরই নির্ধারিত হবে আইপিএল সেভেনের ভবিষ্যৎ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় আংশিক আইপিএল করার ব্যাপারে কিছুটা ব্যাকফুটে ভারতীয় বোর্ড। শুক্রবার ভুবনেশ্বরে বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, আইপিএলের শেষ দিকের কিছু ম্যাচ যদি ভারতে করা যায়, তা হলে কেন্দ্র হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ভারতের কাছাকাছি কোনও দেশকে বেছে নেওয়াই ভাল। বিকল্প কেন্দ্র হিসেবে আরব আমিরশাহির সঙ্গে জোরালো ভাবে উঠে আসছে বাংলাদেশের নামও।
বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যদি দেখা যায় ১৫ মে-র মধ্যে ভোট গণনাপর্ব মিটে যাচ্ছে, তাহলে আইপিএলের শেষ অংশটা ভারতে করা হোক। সেক্ষেত্রে আইপিএলের প্রথম পর্ব বাংলাদেশ বা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হতে পারে। আমিরশাহি নিয়ে সমস্যা হল, ওখানে আইপিএল হলে ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে নানা আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। দূরত্বের দিক থেকে বাংলাদেশকেই সেরা বাছাই মনে করছে বোর্ডের শীর্ষ মহল। তবে ১৫ মে-র মধ্যে ভোট গণনাপর্ব না মিটলে পুরো আইপিএলটাই দক্ষিণ আফ্রিকায় করার পরিকল্পনা রয়েছে বোর্ডের। এ দিন সভায় শ্রীনিবাসন জানান, আইসিসি-র প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তনের ফলে তাদের মোট আয়ের যে একুশ শতাংশ ভাগ পাবে ভারতীয় বোর্ড, তাতে প্রতিটি অনুমোদিত সংস্থা বছরে বাড়তি ১৫-২০ কোটি টাকা পাবে। এ সবের মাঝেই দিনের সভায় বিদেশে ভারতীয় দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার সচিব এম পি পাণ্ডব। জবাবে শ্রীনিবাসন জানান, এই ব্যাপারে কোচ ফ্লেচারের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ফের এই নিয়ে বৈঠকে বসবেন।
বোর্ড কর্তারা যখন বৈঠকে ব্যস্ত, তখন আইপিএল নিয়ে অন্য জট বেঁধেছে। বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে বিন্দু দারা সিংহ এবং শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মইয়াপ্পনকে আবার সমন পাঠিয়েছে তামিলনাড়ুর ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও সিআইডি। এ দিনই আবার সাসপেন্ড হলেন আইপিএলে গড়াপেটার প্রাথমিক তদন্তকারী অফিসার জি সম্পথ কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে এক বুকির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।