জাতীয় গেমসে টেবল টেনিসে দুই বিজয়ী অ্যান্টনি অমলরাজ ও শমিনি। ছবি: পিটিআই
টেবল টেনিসে এ বারও ভরাডুবি। মৌমা-পৌলমী-সৌম্যদীপদের কাছ থেকে অন্তত দু’টি সোনা আশা করেছিলেন বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। কিন্তু এ দিন মেয়েদের সিঙ্গলস ফাইনালে অঙ্কিতা দাস হেরে যাওয়ায় এবং সদ্য জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মৌমা দাস সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ায় সব আশাই শেষ হয়ে গেল। তিনটে রুপো এবং ছ’টি ব্রোঞ্জ নিয়েই ফিরছে বাংলার টিটি-র টিম।
কেরল জাতীয় গেমসে বাংলার ঘরে সোনা ঢুকছেই না। জিমন্যাস্টিক্সের দলগত বিভাগে সোনা জেতার পর দু’নম্বর সোনাটি এ দিন বাংলা পেল বটে তবে সেই খেলার কোনও নম্বর নেই রাজ্যে। খেলাটাই যে হয় অনেকেই জানে না। সেই লনবলে সোনা ছাড়াও রুপো, ব্রোঞ্জ পেল বাংলা। কুস্তিতে এ দিন চারটে পদক পেল বাংলা। ৯৭ কেজিতে অরবিন্দ রুপো জিতলেন। গত দু’দিন সাঁতারের পুলে আলোড়ন তুলে তিনটে রুপো জিতেছিলেন কোলাঘাটের সুপ্রিয় মণ্ডল। এ দিন আবার ভারোত্তোলনে নদিয়ার মেয়ে রাখী হালদার তিন নম্বর ব্রোঞ্জটি জিতলেন। তাঁকে এ দিন ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হল।
মেয়েদের ফুটবলে এ দিন বিদায় নিল বাংলা। দিল্লির সঙ্গে ড্র করে। কিন্তু গতবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলার ছেলেদের কাছে আজ অগ্নিপরীক্ষা। রজত ঘোষ দস্তিদারের ছেলেদের আজ পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জিততেই হবে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে।
বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত যা খবর তাতে বাংলা পদক তালিকায় পনেরোতম স্থানে আছে। গতবার ছিল উনিশ নম্বরে। কিন্তু নিশ্চিত পদকগুলো যেভাবে হাতছাড়া হচ্ছে তাতে চিন্তিত বিওএ কর্তারা। প্রেসিডেন্ট অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় কেরল থেকে ফোনে বললেন, “টেবল টেনিসে যেভাবে সোনাগুলো হারালাম তাতে তো আমার ভয় ধরে যাচ্ছে। জানি না কী হবে। অন্য রাজ্যের মতো টাকার ব্যবস্থা করেছি পদক জিতলে। সেরা টিম পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। তাতেও যদি ভাল জায়গা না পাই তা হলে কী আর করা যাবে।”
তবে বাংলা পদক পেতে পারে এরকম বেশ কিছু খেলা এখনও শুরু হয়নি। বক্সিং, অ্যাথলেটিক্স, উষু থেকে আরও কিছু পদকের আশা আছে। কিন্তু সোনা না জিতলে পদক তালিকার উপর দিকে যাওয়া কঠিন। দেখার শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় বাংলা।