ছয় ছক্কার লজ্জা থেকে আলোয়
Yuvraj Singh

সে দিনের নির্মম শাসকও মন্ত্রমুগ্ধ, তুমি কিংবদন্তি

২০০৭-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্রডকেই এক ওভারে ছ’টি ছয় মেরেছিলেন যুবরাজ। এ দিন তিনিই  টুইটারে সমর্থকদের অনুরোধ করেন, সে দিনের ঘটনাকে মনে করিয়ে ব্রডকে কটুক্তি না করে তাঁর সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০৫:৫৬
Share:

প্রত্যাবর্তন: ২০০৭ বিশ্বকাপে যুবরাজের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ব্রড। (ডান দিকে) টেস্ট সিরিজে সেরার পুরস্কার নিয়ে। ফাইল চিত্র

তেরো বছর আগে বিশ্বকাপ মঞ্চে এক জন ছিলেন আক্রান্ত বোলার। অন্য জন শাসক ব্যাটসম্যান।

Advertisement

পুরনো সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে স্টুয়ার্ট ব্রডের ৫০০ উইকেট পূর্তির লগ্নে কুর্নিশ যুবরাজ সিংহের। যা দেখে খেলার সেই পুরনো কথাটাই মনে পড়ে যাবে ‘স্পোর্টসম্যান স্পিরিট’।

২০০৭-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্রডকেই এক ওভারে ছ’টি ছয় মেরেছিলেন যুবরাজ। এ দিন তিনিই টুইটারে সমর্থকদের অনুরোধ করেন, সে দিনের ঘটনাকে মনে করিয়ে ব্রডকে কটুক্তি না করে তাঁর সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। ব্রডকে কিংবদন্তি বলেও সম্মান জানিয়েছেন যুবি। প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডারের দীর্ঘ টুইট, ‘‘যত বারই ব্রডকে নিয়ে আমি কিছু লিখেছি, সমর্থকেরা তুলনা করেছে ছয় ছক্কার সেই ম্যাচের সঙ্গে। আজ আমার অনুরোধ ব্রডের এই কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। টেস্টে ৫০০ উইকেট পাওয়া চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। আত্মত্যাগ, নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম থাকলে তবেই সম্ভব। ব্রড, তুমি কিংবদন্তি। তোমাকে কুর্নিশ।’’

Advertisement

যুবরাজের হাতে তুলোধনা হওয়ার দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে ফিরে আসাই শুধু নয়। স্টুয়ার্ট ব্রডের জীবনে এমন লড়াই রয়েছে আরও অনেক। ছেলের কোনও দিন ক্রিকেট খেলা হবে কি না, তা নিয়েই যেমন সংশয় ছিল বাবা ক্রিস ব্রডের। প্রাক্তন ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান এবং ম্যাচ রেফারি ক্রিস জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হন স্টুয়ার্ট। জন্মানোর সময়ে তাঁর ওজন ছিল এক কেজিরও কম।

ব্রডের যখন চার বছর বয়স, তখন থেকেই বাবার সঙ্গে মাঠে যেতেন ম্যাচ দেখতে। গ্লুস্টারশায়ারের হয়ে ক্রিস খেলা শুরু করার পরে ক্রিকেটের প্রতি ছেলের আরও আকর্ষণ বাড়ে। ম্যাচ বন্ধ থাকার সময় মাঠের পাশে কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতেন স্টুয়ার্ট। নিজের দেশের সংবাদমাধ্যমে ক্রিস ব্রড বলেছেন, ‘‘ওয়ালশের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল আমাদের। স্টুয়ার্টকে ছোট থেকেই খুব ভালবাসত। ম্যাচ বন্ধ থাকার সময় ওর সঙ্গে খেলত ওয়ালশ।’’ সেই ওয়ালশ, যিনি প্রথম পেসার হিসেবে পাঁচশো উইকেটের গণ্ডি পেরিয়েছিলেন। কে জানত, এক দিন ইতিহাসের পাতাতেও দেখা হয়ে যাবে ওয়ালশ আর ব্রড পরিবারের।

ছেলে পেসার হিসেবে টেস্টে পাঁচশো উইকেট নেবেন তা কখনওই ভাবতে পারেননি ক্রিস। তাঁর কথায়, ‘‘ছোট থেকেই ব্যাটিংয়ের প্রতি খুব টান ছিল ওর। আমাদের বাড়ি একটি নদীতে ছোট দ্বীপের মধ্যে। স্টুয়ার্ট ইচ্ছে করে বড় শট খেলত আর নদীতে বল পাঠিয়ে যেত।’’ ছোটবেলায় ব্যাট হাতে ঝড় তোলা স্টুয়ার্ট ব্রডই এখন টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকদের তালিকায় সপ্তম স্থানে। তাঁর কীর্তিতে উচ্ছ্বসিত শেন ওয়ার্ন থেকে সচিন তেন্ডুলকর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement