এশিয়ান গেমসে বিতর্ক। ছবি: রয়টার্স।
ভারতের উশু (এক ধরনের মার্শাল আর্ট) অ্যাথলিটদের ভিসা দেয়নি চিন সরকার। প্রতিবাদে সে দেশে যাচ্ছেন না কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। দু’দেশের টানাপড়েনের মাঝেই ভেসে এল আর একটি খবর। ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানার পর থেকেই এক উশু খেলোয়াড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাঁর পরিবার চিন্তিত। তাঁদের আশঙ্কা, হতাশা থেকে খারাপ কিছু করে ফেলতে পারেন সেই খেলোয়াড়।
জানা গিয়েছে, ভিসা খারিজ হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ মেপুং লামগু। বৃহস্পতিবার দাদা গান্ধী লামগুর থেকে খবর জানার পর মেপুং প্রচণ্ড কাঁদছিলেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। তার পর থেকে আর কিছুতেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
সংবাদ সংস্থাকে গান্ধী বলেছেন, “এখন আমাদের ফোনও ধরছে না। ওর ফোন সুইচ্ড অফ। আমরা প্রচণ্ড চিন্তায় রয়েছি। খারাপ কিছু না করে দেয় সেই ভয় হচ্ছে।” মেপুংয়ের পরিবার থাকে অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগর থেকে ২০০ কিলোমিটাকর দূরে সেপ্পায়। ভয়ে বাড়িতে থাকা বাবা-মাকে ভিসা বাতিলের খবর জানাননি গান্ধী।
তিনি বলেছেন, “আমিও নিজের কর্মক্ষেত্রে খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। ছুটি পাচ্ছি না। আর্থিক অবস্থাও খারাপ। বাবা চিন্তা করবেন বলে আমরা কিছু বলিনি। ওখানে ফোনের নেটওয়ার্কও পাওয়া যায় না। চাই না এই খবর শুনে ওরা হতাশ হয়ে পড়ুক।”
দাদা গান্ধীর জন্যে মেপুং উশু খেলোয়াড় হতে পেরেছেন। তিনি উশুর দু’টি বিভাগে লড়াই করেন। শুক্রবার রাতেই তাদের চিনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছাড়পত্র না থাকা মেপুং এবং অরুণাচলের আরও দুই উশু খেলোয়াড় যেতে পারেননি।