কোহালির আদর ঋদ্ধিকে। ছবি: এএফপি।
তাঁর উইকেটকিপিং দক্ষতা নিয়ে কোনওদিনই সংশয় ছিল না বিরাট কোহালির। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের বল গড়ানোর আগে ঋদ্ধিমান সাহাকে বিশ্বের সেরা উইকেটকিপার বলেছিলেন ভারত অধিনায়ক।
রবিবার সকালে থেউনিস দে ব্রুইনের ক্যাচটা শরীর ছুড়ে দিয়ে ধরার পরে কোহালি জড়িয়ে ধরেন ঋদ্ধিকে। প্রোটিয়াদের মাটি ধরানোর পরে ভারতের উইকেট কিপারের প্রশংসা করে কোহালি বললেন, ‘‘আলাদা করে সাহার কথা বলতে হবে। বিশাখাপত্তনমে নামার আগে ওকে একটু নার্ভাস দেখিয়েছিল। কিন্তু, এই টেস্টে ও দুর্দান্ত কিপিং করেছে।’’
শুধু কোহালি নন, পুণেতে তাঁর উইকেট কিপিং দেখে ক্রিকেটপ্রেমী থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটাররা ঋদ্ধি-বন্দনায় মেতে উঠেছেন। সতীর্থ উমেশ যাদব দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন তিন-তিনটি উইকেট। সেই উইকেটগুলোর জন্য পুরো কৃতিত্বই উমেশ দিচ্ছেন বাংলার উইকেট কিপারকে। উমেশ বলেন,‘‘আমি মনে করি যে উইকেটগুলো পেয়েছি, সেগুলো সাহারই।’’
আরও পড়ুন: অন্য কেউ হলে হয়ত এই কামব্যাক হত না, বললেন ঋদ্ধির স্ত্রী
ভুল কিছু বলেননি উমেশ যাদব। প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে ঋদ্ধি নিয়েছেন তিন-তিনটি ক্যাচ। তার মধ্যে দু’টি ক্যাচ উমেশেরই বলে। ভাগ্য সহায় ছিল ভারতের পেসারের। কারণ উইকেটের পিছনে ছিলেন ঋদ্ধিমান। তাঁর প্রশংসা করে উমেশ বলেন, ‘‘ঋদ্ধিমানকে আমার ট্রিট দেওয়া উচিত। ওভাবে যে শরীর ছুড়ে দিয়ে ক্যাচ দুটো নেবে, তা ভাবতেও পারিনি। লেগ সাইডে যখন বলগুলো গেল, তখন আমি ধরেই নিয়েছিলাম বাউন্ডারি হচ্ছে। কিন্তু, উইকেটগুলোর জন্য ঈশ্বর ও সাহাকে ধন্যবাদ জানাই।’’
ঋদ্ধির ফিটনেস দেখে বিস্মিত ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকর। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের খানিক আগে তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন ঋদ্ধিমানকে, ‘‘তোমার তো ২০ বছর বয়স নয়। এই ফিটনেসের রহস্য কী?’’ হেসে ঋদ্ধিমান বলেন, ‘‘এখন ভারতীয় দলে সবাই ফিটনেসের জন্য কঠিন পরিশ্রম করে। ফিটনেসের জন্য আমাকেও খাটতে হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: চারদিনেই শেষ পুণে টেস্ট, ইনিংস ও ১৩৭ রানে জিতল ভারত, পকেটে সিরিজও
গত বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলেছিলেন শেষ টেস্ট। চোট তাঁকে ছিটকে দেয়। তার পরে অস্ত্রোপচার, রিহ্যাব, প্রচুর ঘাম ঝরিয়ে ক্রিকেটমাঠে আবার ফিরে এসেছেন ঋদ্ধিমান। আর মাঠে ফিরেই তিনি হয়ে গিয়েছেন ‘সুপারম্যান সাহা’। ফিরে আসা তো একেই বলে।