কাছাকাছি: আইপিএলের সময় কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে ঋদ্ধিমান। খেলার মাঠে দূরত্ববিধি মানা কি সম্ভব? টুইটার
আইপিএল-এর জৈব সুরক্ষা বলয় আদৌ কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ঋদ্ধিমান সাহা। করোনা মুক্ত হয়ে সদ্য বাড়ি ফিরেছেন তিনি। ২৪ মে মুম্বইয়ে উড়ে যাবেন ভারতীয় দলের জৈব সুরক্ষা বলয়ে যোগ দিতে। তার আগে আইপিএল-এর টিম হোটেলের বলয় আদৌ সংক্রমণ রোখার মতো ছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ঋদ্ধির মনে।
ভারতীয় টেস্ট দলের উইকেটকিপার মনে করেন, গত বার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে যে রকম সুরক্ষিত বলয়ে থেকেছিলেন, তার চেয়ে অনেক তফাত ছিল এ বারের বলয়ে। ঋদ্ধি মনে করেন, এ বারের আইপিএলও আমিরশাহিতেই করা উচিত ছিল। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে ঋদ্ধি বলেছেন, ‘‘যাঁরা বলয়ের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা এ বিষয়ে ভাল বলতে পারবেন। তবে আমি একটি কথা বলতে পারি। গত বার আমিরশাহিতে অনুশীলন করার সময় দেখেছি, দলের বাইরে কোনও একজনও মাঠে আসত না। এমনকি মাঠকর্মীরাও থাকতেন না। কিন্তু এ বার বেশ কিছু দৃশ্য অবাক করেছে।’’ যোগ করেন, ‘‘ভারতের মাটিতে অনুশীলন করার সময় দেখেছি মাঠে বেশ কয়েকজন থাকতেন। মাঠের বাইরে অনেকেই দাঁড়িয়ে থাকতেন। বাচ্চারা দেখার চেষ্টা করত, মাঠে কারা অনুশীলন করছে। এ বিষয়ে বেশি মন্তব্য করতে চাই না। তবে প্রত্যেকেই দেখেছে ২০২০ সালের আইপিএল কতটা সুষ্ঠু ভাবে শেষ হয়েছে।’’
এখানেই না থেমে ঋদ্ধি বলে দিলেন, ‘‘কী করলে কী হতে পারত জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, আমিরশাহিতে এ বারও আইপিএল হলে খারাপ হত না।’’ এমনিতে মে মাসের প্রথম দিন থেকেই শরীরে অস্বস্তি অনুভব করতে শুরু করেন ঋদ্ধি। প্রথম দু’বার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলেও তৃতীয় বার পরীক্ষার ফল আসে পজ়িটিভ। এখন যদিও কোনও সমস্যা নেই ঋদ্ধির শরীরে। আর কোনও রকম ক্লান্তিও অনুভব করছেন না। ঋদ্ধি তাই বললেন, ‘‘বাড়িতে আগের মতোই স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি। শরীরে যন্ত্রণা নেই। নেই ক্লান্তিও। তবে অনুশীলন শুরু না করলে বুঝব না আদৌ শরীর কতটা পরিশ্রম নিতে পারছে।’’
আক্রান্ত হওয়ার পরে কী ধরনের সমস্যা হচ্ছিল? ঋদ্ধির উত্তর, ‘‘প্রথম দু’দিন জ্বর আসত। গন্ধও পেতাম না। তবে চার দিন পর থেকে গন্ধ ফিরে আসে।’’ আরও বলেন, ‘‘একাকীত্ব কাটানোর জন্য বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে গল্প করি। বিনোদনমূলক ওয়েবসিরিজ দেখি। চেষ্টা করতাম স্বাভাবিক থাকার।’’