কুস্তিগিররা বিপদে। ফাইল ছবি
রিং তো নয়, যেন ‘গরম কড়াই’। অনুশীলন করতে গিয়ে দরদর করে ঝরছে ঘাম। একটানা বেশিক্ষণ অনুশীলন করাই যাচ্ছে না। শরীরে আসছে ক্লান্তি। স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার সোনিপত কেন্দ্রে কুস্তিগিরদের অবস্থা এখন এ রকমই। কুস্তির জন্য যে অনুশীলন কেন্দ্র রয়েছে সেটিকে নতুন ভাবে সাজানোর কাজ চলছে। এখন যেখানে অনুশীলন চলছে, সেখানে অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্ষোভ রয়েছে খাবারের মান নিয়েও।
প্রায় ৭০ জন ক্রীড়াবিদ সাই কেন্দ্রে অনুশীলন করেন। অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী বজরং পুনিয়া, সম্প্রতি র্যাঙ্কিং সিরিজে সোনাজয়ী আমনা সেহরাবতরা রয়েছেন। কখনও কখনও টোকিয়োয় রুপোজয়ী রবি দাহিয়া, জিতেন্দ্র কিনহা, দীপক পুনিয়ারাও চলে আসেন। এ ছাড়া, দেশের প্রথম সারির ফ্রিস্টাইল এবং গ্রেকো-রোমান কুস্তিগিররাও রয়েছেন। দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। হলের ভিতরেও প্রায় ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রয়েছে। বাতানুকূল যন্ত্র থাকলেও হলের উচ্চতা এতটাই যে সেটি ভাল ভাবে কাজ করে না।
সংবাদ সংস্থাকে এক কোচ বলেছেন, “সাধারণত আমাদের ২৩-২৪ ডিগ্রির মধ্যে অনুশীলন করা উচিত। এই পরিবেশে ছেলেদের অনুশীলন করিয়ে ওদের চোটের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। কমনওয়েলথ গেমস সামনেই। এটা মোটেই আদর্শ পরিবেশ নয়। যা গরম হচ্ছে তাতে অনুশীলন চালানোই অসম্ভব।” তবে সাইয়ের কার্যনির্বাহী পরিচালক ললিতা শর্মা জানিয়েছেন, ছ’টি কুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে কুস্তির হলটি মেরামতের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
খাবার নিয়েও কুস্তিগিররা অসন্তুষ্ট। নিয়মিত জুস এবং ডাবের জল তাঁরা পান না। বড়জোর তরমুজের রস জোটে, সেটাও বিকেলে। এক কুস্তিগির জানিয়েছেন, তাঁদের নিয়মিত মুসম্বি এবং বেদানার রস দরকার। বজরং পুনিয়ার মতো কেউ কেউ তাই সাইয়ের খাবার খান না। বাড়ি থেকে খাবার আনান।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।