ব্রাত্য আর এক রাহুল ফাইল ছবি
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা হয়েছে বুধবার। রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, ঋষভ পন্থ-হীন সেই দলে নেতা হার্দিক পাণ্ড্য। মূলত আইপিএলের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে তরুণ ক্রিকেটারদের বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে সেই দলে জায়গা পাননি রাহুল তেওতিয়া। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে দীনেশ কার্তিকের মতো ক্রিকেটার এত বয়সে জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছেন, সেখানে তেওতিয়া কী দোষ করলেন? ম্যাচ শেষ করায় তাঁরও তো কোনও জুড়ি নেই।
আয়ারল্যান্ডের দলে নিজের নাম না দেখে মাত্র দু’টি শব্দে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তেওতিয়া। লিখেছেন, ‘এক্সপেকটেশন হার্টস’, অর্থাৎ প্রত্যাশা কষ্ট দেয়। তেওতিয়া এ কথা লিখতেই পারেন। আইপিএলে ও রকম পারফরম্যান্সের পর তিনি যদি জাতীয় দলে ঢোকার প্রত্যাশা না করেন, তা হলে আর কে করবে?
এর আগের মরসুমগুলিতে এ দল-ও দল ঘুরেছেন। এ বার ছিলেন গুজরাতে। পরে ব্যাট করে রুদ্ধশ্বাস ভঙ্গিতে ম্যাচ জেতার জন্য সুখ্যাতি অর্জন করেছিল গুজরাত। আর সেই সুখ্যাতির পিছনে যাঁর সবচেয়ে বড় অবদান, তিনি তেওতিয়া। কে ভুলবে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে শেষ দুই বলে তাঁর দুই ছক্কা? হারা ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছিলেন দলকে। এ রকম আরও অনেক হারা ম্যাচে তাঁর দৌলতে পার পেয়ে গিয়েছে দল। পরিসংখ্যান খুলে বসা হলে হয়তো দেখা যাবে, কার্তিকের থেকে তাঁর জেতানো ম্যাচের সংখ্যা বেশি।
সাধারণত ছয়ে ব্যাট করতে নামতেন তেওতিয়া। ১৬টি ম্যাচে ২১৭ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট প্রায় দেড়শোর কাছাকাছি। পাঁচ বার নট আউট থেকেছেন। এর মধ্যেই বেশির ভাগ ম্যাচেই দল জিতেছে। কখনও আগে ব্যাট করতে নেমে দলকে ভদ্রস্থ রানে পৌঁছে দিয়েছেন। কখনও পরে ব্যাট করে দলকে জিতিয়েছেন। তবে যে সময়ে নেমে একের পর এক ইনিংস তিনি খেলেছেন, তাতে রানের সংখ্যা বা স্ট্রাইক রেট কোনওটিই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাঁর উপর ভরসা রাখলে কোনও সময়ে নিরাশ করেননি। হাসিমুখে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। এ রকম একজন ক্রিকেটারকে কি জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবা যেত না, উঠছে প্রশ্ন।
প্রথম সারির দল নির্বাচন হলে সুযোগই পেতেন না তেওতিয়া। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য এই ধরনের সফরগুলিই তেওতিয়ার মতো ক্রিকেটারদের কাছে একমাত্র সুযোগ। সেখানেও যদি বার বার নিরাশ হতে হয়, তা হলে আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকা স্বাভাবিক।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।