কুস্তি ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন সাক্ষী মালিক। ছবি: পিটিআই।
ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সঞ্জয় সিংহ। তিনি অভিযুক্ত কুস্তিকর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের ঘনিষ্ঠ। প্রতিবাদে কুস্তি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন সাক্ষী মালিক। সেই সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তিগির।
বৃহস্পতিবার জানা যায় ব্রিজভূষণের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। সেটা জানার পরেই ভেঙে পড়েন সাক্ষী। তিনি এবং আরও অনেক কুস্তিগিরেরা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করেছিলেন। তার পরেও ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ এক জন কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন সাক্ষী। তিনি বলেন, “৪০ দিন আমরা রাস্তায় ছিলাম। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। তার পরেও যদি ব্রিজভূষণের ব্যবসার সঙ্গী কুস্তি ফেডারেশনের কর্তা হয়, তাহলে আমি কুস্তি দিচ্ছি।”
রিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন সাক্ষী। বৃহস্পতিবার কাঁদতে কাঁদতে সাক্ষী বলেন, “আমাকে আর কেউ কখনও কুস্তি লড়তে দেখবে না।” তাঁর পাশে ছিলেন বজরং পুনিয়া। তিনি বলেন, “আমরা আর কুস্তি লড়তে পারব কি না জানি না। রাজনীতি কী ভাবে কাজ করে জানি না।”
নির্বাচনে সঞ্জয় জিতে আসায় বলাই যায় যে, বজরং পুনিয়াদের লড়াই কোনও দাম পেল না। তাঁরা ব্রিজভূষণকে সরানোর জন্য লড়াই করছিলেন। ধর্না দিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রিজভূষণ সরলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই কুস্তি সংস্থার দায়িত্বে রইলেন। না থেকেও রয়ে গেলেন ব্রিজভূষণ। এর আগে সঞ্জয় উত্তরপ্রদেশ কুস্তি সংস্থার সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ৪০টি ভোট পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে মাত্র সাতটি। সভাপতি হওয়ার দৌড়ে ছিলেন অনিতা শেওরান। তিনি ওই সাতটি ভোট পেয়েছেন। সচিব পদে নির্বাচিত হয়েছেন প্রেমচাঁদ লোছাব।
সাক্ষী, বজরংদের অভিযোগ ছিল মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থা করেছিলেন ব্রিজভূষণ। যন্তর মন্তরের সামনে ধর্না দিয়েছিলেন বজরংরা। ২৮ মার্চ নতুন সংসদ ভবনের দিকে পদযাত্রা করছিলেন তাঁরা। সেই সময় দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তাঁদের। ৭ জুন কুস্তিগিরেরা ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলার পর প্রতিবাদ থেকে সরে আসেন। ক্রীড়ামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন ব্রিজভূষণের পরিবারের কেউ কুস্তি সংস্থার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সেটা না হলেও সঞ্জয় পরিচিত ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ হিসাবেই।