ধর্নামঞ্চে কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী কুস্তিগির বজরং পুুনিয়া। ছবি: পিটিআই
ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজ ভুষণ শরন সিংহের গ্রেফতারির দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না দিচ্ছেন কুস্তিগিররা। বজরং পুনিয়া, বিনেশ ফোগট, সাক্ষী মালিকের মতো দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিররা সেখানে রয়েছেন। এর মধ্যেই ধর্নামঞ্চের কাছে একটি বিলাসবহুল হোটেলের রেস্তরাঁয় স্ত্রীর সঙ্গে বজরংয়ের নৈশভোজের ছবি সামনে এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে আন্দোলন ঘিরে। তার জবাব দিলেন বজরং।
ভারতের হয়ে কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী কুস্তিগির বলেছেন, ‘‘অনেক গুজব ছড়াচ্ছে। এ-ও বলা হচ্ছে যে, রাতে নাকি ধর্নামঞ্চে কেউ থাকে না। সংবাদমাধ্যমের অনেকেই রাতে আমাদের সঙ্গে থাকছেন। তাঁরা তো সবটাই দেখতে পাচ্ছেন।’’ কেন বিলাসবহুল হোটেলে স্ত্রী সঙ্গীতা ফোগটকে নিয়ে বজরং গিয়েছিলেন, তারও জবাব দিয়েছেন তিনি। বজরং বলেছেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে অনেক মহিলা আছে। তাদের শৌচাগার ব্যবহার করতে হয়। জামাকাপড় বদলাতে হয়। সেটা তো আর রাস্তায় হবে না। সেই কারণেই হোটেল ব্যবহার করতে হয়েছে।’’
একই কথা শোনা গিয়েছে আর এক কুস্তিগির সাক্ষীর মুখে। তিনি বলেছেন, ‘‘দিল্লি পুলিশ গুজব ছড়াচ্ছে। ওরা বলছে রাতে নাকি এখানে কেউ থাকে না। যে কোনও দিন ধর্নামঞ্চে এসে দেখে যেতে পারেন আমরা আছি কি না।’’
বিনেশ জানিয়েছেন, তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে অনেক সাধারণ মানুষ আসছেন। কিন্তু তাঁদেরও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশ। তিনি বলেছেন, ‘‘একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে কয়েক জন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের বলেছে যে আমরা দুপুরে ধর্নায় বসি আর রাতে চলে যাই। সেটা শুনে কেউ ওদের বলে যে পুলিশ মিথ্যা কথা বলছে। তার পরে ওরা আমাদের সঙ্গে দেখা করে। আমাদের আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।’’
এর মধ্যেই কুস্তিগিররা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের তুলে দেওয়ার জন্য বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ। তাঁদের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশের একটি দল মত্ত অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে শুরু করে। রাতে তাঁরা আচমকাই এসে মারধর করে এবং মহিলা কুস্তিগিরদেরও গালিগালাজ করে। তাঁদের দাবি, এতে দুই আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে।