উচ্ছ্বাস: ভারতের বিরুদ্ধে গোল দেওয়ার পরে সাদ উদ্দিন। এএফপি
যে ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফেরার কথা, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের সেই লড়াই ড্র।
ম্যাচের পরে তাই কার্যত হতাশ ভারতীয় শিবির। কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে এশিয়ান জ়োনের ‘ই’ গ্রুপে তিন ম্যাচের পরে ভারতের পয়েন্ট আপাতত ২। বাংলাদেশের ১। ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় কোচ ইগর স্তিমাচের কথাতেও হতাশা। বলছিলেন, ‘‘দর্শকরা হয়তো খেলা উপভোগ করেছেন। কিন্তু আমরা খুশি নই। আমাদের জেতা উচিত ছিল। প্রচুর সুযোগও তৈরি হয়েছে। কিন্তু ফুটবলে যে আসল ব্যাপার গোল, সেটাই করতে পারিনি আমরা। আমার মতে বাংলাদেশ গোলকিপার আজ ম্যাচের সেরা।’’ যোগ করেন, ‘‘খুব বাজে গোল আজ খেতে হল আমাদের। যখন আপনি এ রকম একটা গোল খাবেন, তখন জেতার আশা না করাই ভাল।’’
ভারতীয় কোচ আরও বলেন, ‘‘জানতাম ওরা নয়জন মিলে রক্ষণ করবে। গোল করা কঠিন হবে। ছেলেদের সেটা বলে দিয়েছিলাম। প্রথমার্ধে আমরা আগ্রাসী হতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে যখন ভুল শুধরে নিয়েছিলাম, তখন সুযোগ নষ্টের মাসুল গুনতে হল।’’ প্রশ্ন করা হয়, কাতার ম্যাচের নায়ক গুরপ্রীতের এ দিন খলনায়ক হয়ে গোল হজম করা প্রসঙ্গেও। এ বার ছাত্রকে আড়াল করে ভারতীয় কোচ বলেন, ‘‘গোলকিপারদের ভাগ্য এ রকমই। একদিন ভাল তো একদিন খারাপ। এটাই ফুটবলের মজা।’’
অন্য দিকে, বাংলাদেশ শিবির মনে করছে, এই ড্র তাদের নৈতিক জয়। সাংবাদিক বৈঠকে প্রায় সে কথাই বললেন মামুনুল ইসলামদের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। তাঁর কথায়, ‘‘ব্যতিক্রমী ফুটবল খেলল আজ ছেলেরা। ভারতীয় ফুটবলারদের আজ হতাশ করে দিয়েছে ওরা। ভারতীয়দের কোনও পরিকল্পনা আজ কাজ করেনি। তিন পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা ফিরতে পারতাম। কিন্তু ড্র করে ফেরায় হতাশ লাগছে। ৭৫ হাজার দর্শকের সামনে এত ভাল খেলবে ছেলেরা ভাবিনি।’’
নিজের ডিফেন্ডারদের দশের মধ্যে সাড়ে নয় দিয়ে বাংলাদেশ কোচ বলছেন, ‘‘আমরা ভারতের চেয়ে ৮৩ ধাপ পিছিয়ে। এ রকম একটা দলের থেকে পয়েন্ট পেলে কী আনন্দ হয়, তা কাতারের বিরুদ্ধে ড্র করার অভিজ্ঞতা থেকে আপনারাও বুঝতে পারবেন। আমাদের কাছে এটা একটা
অবিশ্বাস্য ফল।’’