বিস্ময় বালক যখন নেটে রাহানেদের ও’কিফ

শুভাঙ্গ হেগড়ে। বেঙ্গালুরুর নতুন বিস্ময় বালক। যাঁকে নিয়ে কর্নাটকের ক্রিকেটে তো বটেই, সারা ভারতেই কৌতূহল ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁ হাতি স্পিনার শুভাঙ্গের বয়স ১৫ বছর। কিন্তু ইতিমধ্যেই সে ঢুকে পড়েছে কর্নাটকের অনূর্ধ্ব ১৯ দলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৭ ০৩:৪৩
Share:

প্রতিশ্রুতিমান: ভারতীয়দের নেটে বাঁ হাতি স্পিনার শুভাঙ্গ।

শুভাঙ্গ হেগড়ে। বেঙ্গালুরুর নতুন বিস্ময় বালক। যাঁকে নিয়ে কর্নাটকের ক্রিকেটে তো বটেই, সারা ভারতেই কৌতূহল ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁ হাতি স্পিনার শুভাঙ্গের বয়স ১৫ বছর। কিন্তু ইতিমধ্যেই সে ঢুকে পড়েছে কর্নাটকের অনূর্ধ্ব ১৯ দলে। আর তার চেয়ে অনেক বেশি বয়সের ছেলেদের সঙ্গেও মোটেও বেমানান দেখাচ্ছে না শুভাঙ্গকে। বরং নজর কাড়া পারফরম্যান্সই করে চলেছে।

Advertisement

বেঙ্গালুরুর বিস্ময় বালক এখন বিরাট কোহালির আইপিএল হোমে শিরোনামে। ভারতীয় দলের অনুশীলনে ডাক পাওয়ায় তাকে নিয়ে হইচই আরও বেড়ে গিয়েছে। কেউ কেউ বলতে শুরু করে দিয়েছেন যে, অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি স্পিনার স্টিভ ও’কিফ-কে কী ভাবে খেলবে ভারতীয় দল, তার মহড়া সারতেই কি শুভাঙ্গকে কোহালিদের নেটে ডাকা হয়েছিল? উত্তর হ্যাঁ হলেও অবাক হওয়ার নেই।

ক্রিকেট রোম্যান্টিকদের মনে পড়ে যেতে পারে ব্যাটিংয়ের এক বিস্ময় বালকের কথা। এ রকম পনেরো বছর বয়সে তাঁকেও ভারতীয় দলের নেটে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। তার পর তাঁকে পুরো গতিতে বল করেছিলেন কপিল দেব। তিনি— ভারতীয় ক্রিকেটের সেরা বিস্ময় বালক, সচিন রমেশ তেন্ডুলকর।

Advertisement

বেঙ্গালুরুতে ফোন করে জানা গেল, পিচ-বিতর্কের মধ্যেও জোরাল আলোচনা হচ্ছে শুভাঙ্গ-কে নিয়ে। দিল্লি পাবলিক স্কুলের ছাত্র গত বছর থেকেই সকলের নজরে। কেএসসিএ কাপে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করার পরেই কর্নাটক রাজ্য দলের নানা বয়সভিত্তিক দলে সুযোগের দরজা খুলে যায় তার সামনে। এ বার সরাসরি ভারতীয় দলের প্রিয় তারকাদের সঙ্গে অনুশীলন। শুভাঙ্গের কাছে স্বপ্নের উড়ানের মতোই। আর যদি ও’কিফের বিরুদ্ধে মহড়ার জন্য তাঁকে ডাকার তথ্য সঠিক হয় তা হলে আরও এক বিস্ময় বালকের যাত্রা শুরু হয়ে গেল বলেও ধরে নেওয়া যায়।

শুভাঙ্গের আবির্ভাবের মধ্যেই মাইক্রোস্কোপের তলায় চিন্নাস্বামীর বাইশ গজ। পুণেতে বিতর্কের পরে পিচ নিয়ে ভারতীয় দলের রণনীতি কী হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে আগ্রহ গোটা ক্রিকেট বিশ্বের। ভারতীয় দলের কোচ অনিল কুম্বলের কথাবার্তা শুনে মনে হবে, তিনিও পিচ নিয়ে বিতর্কের আগুনে দগ্ধ হচ্ছেন। না হলে তিনি হঠাৎ কেন দাবী করবেন, ‘‘আমি পিচ দেখি না।’’ তার পরেই চিন্নাস্বামীর বাইশ গজ জরিপ করতে দেখা গেল কুম্বলেকে। সেই ছবিও উঠল।

পুণেতে পিচের ঘাস ওড়ানো নিয়ে পাল্টা কুম্বলেদের দিকে তোপ দেগেছেন বোর্ডের প্রাক্তন সচিব অজয় শিরকে। তাঁর দাবি, সংস্থাকে কাঠগড়ায় না তুলে ভারতীয় দলকে শাস্তি দেওয়া উচিত। যেহেতু আয়োজক সংস্থাকে উপেক্ষা করে পিচের চরিত্র বদল করা হয়েছে। এমন বিতর্কের পর কি ঘরের মাঠেও পিচ নিয়ে কোনও জোরজার করতে যাবেন কুম্বলে বা দলের কেউ? এমন প্রশ্ন থাকছে।

আবার বেঙ্গালুরু থেকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানাচ্ছেন, পিচের ঘাস ওড়ানো শুরু হয়ে গিয়েছে। টেস্ট শুরু শনিবার থেকে। অর্থাৎ মাঝে এখনও একটা দিন। আর ভারতীয় ক্রিকেটের রীতি হচ্ছে, পিচের চরিত্র পাল্টে যায় চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে। যা ‘কারুকাজ’ হয় সবই শেষ মুহূর্তে।

বিস্ময় বালক নিয়ে কাহিনি লিখে ফেলা যেতে পারে। চিন্নাস্বামীর বাইশ গজে কোনও বিস্ময় থাকছে কি না, সেটা জানার জন্য আরও চব্বিশ ঘণ্টা অপেক্ষা করতেই হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement