চর্চায়: দুরন্ত ফর্মে থাকা শেফালির উপরে নজর সবার। এএফপি
বয়স মাত্র ১৬। কিন্তু এ বার মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের এই আগ্রাসী ওপেনার শেফালি বর্মাই ব্যাট হাতে ত্রাস সৃষ্টি করেছেন বিপক্ষ বোলারদের কাছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ বার ১৬১ স্ট্রাইক রেট রেখে ১৬১ রান করা হরিয়ানার এই ক্রিকেটার মেরেছেন ন’টি বিশাল ছক্কাও। এত ছয় এই বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্রিকেটার মারেননি। রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতীয় এই ক্রিকেটারকে নিয়েই তাই চিন্তা বেড়েছে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। কারণ, স্মৃতি মন্ধানা বা অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ব্যাট হাতে ছন্দে নেই। সেই খামতি একাই ঢেকে দিচ্ছেন শেফালি।
ভারতের এই বিধ্বংসী ক্রিকেটার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ইংল্যান্ড ওপেনার ডানি ওয়ায়েট। তাঁর ধারণা, ম্যাচে শেফালির বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইও (মাইন্ড গেম) করতে পারেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারেরা। ডানির কথায়, ‘‘শেফালির সীমাবদ্ধতা যে জায়গায় অস্ট্রেলীয়রা ঠিক সেখানেই বল করবে ওকে, এটা ওরা আগেও করেছে। মনস্তাত্ত্বিক লড়াইও হতে পারে।’’ এক বছর আগে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় শেফালির সঙ্গে খেলেছেন ওয়ায়েট। বলছেন, ‘‘ওই প্রতিযোগিতায় নেটে কয়েক জন পুরুষ পেসার এসেছিল। তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অনুশীলনের জন্য শেফালিকে নেটে ব্যাট করতে দেখেছিলাম। বিধ্বংসী মেজাজে ও সে দিন ওই পুরুষ পেসারদের বিরুদ্ধে এক ঘণ্টা ব্যাট হাতে নেটে তাণ্ডব চালিয়েছিল। তার পরে ২০ মিনিট ব্যায়াম করে ড্রেসিংরুমে ফিরেছিল। ১৫ বছর বয়সে শেফালির প্রতিভা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’’
এ বারের বিশ্বকাপে শেফালির একটি শট ইতিমধ্যেই সাড়া জাগিয়েছে। তা হল এগিয়ে এসে অবলীলায় বোলারের মাথার উপর দিয়ে বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া। যে প্রসঙ্গে শেফালির ছোটবেলার কোচ বলছেন, দিনে পঞ্চাশ বার করে ওই শট অনুশীলন করতেন এই ভারতীয় ক্রিকেটার।
রোহতকের শ্রীরামনারায়ণ ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে শেফালির কোচ ছিলেন অশ্বিনী কুমার। তিনি শেফালির এই আগ্রাসী ব্যাটিং সম্পর্কে বলছেন, ‘‘ওকে সব রকমের শট খেলতে শিখিয়েছি আমরা। বোলারের মাথার উপর দিয়ে ওই শটটা দিনে পঞ্চাশ বার অনুশীলন করত শেফালি।’’ যোগ করেন, ‘‘স্বাভাবিক ভাবেই ও বলের কাছে গিয়ে মারতে পারে। আমরা ওর সেই দক্ষতা পালিশ করেছি।’’ পেশিবহুল বাহু ও কাঁধ, সঙ্গে হাত-চোখের দুর্দান্ত সমন্বয়। এগুলোই শক্তি শেফালির।