নীরজ চোপড়া। — ফাইল চিত্র।
প্যারিস অলিম্পিক্সের ফাইনালে কুঁচকির চোট নিয়েই লড়াই করে পেয়েছিলেন রুপো। শনিবার ডায়মন্ড লিগের ফাইনালেও রুপো পেয়েছেন। তার পরে নীরজ চোপড়া জানালেন, এই প্রতিযোগিতাতেও তিনি লড়েছেন চোট নিয়েই। বাঁ হাতের হাড়ে চিড় ধরা সত্ত্বেও নাম তুলে নেননি।
মাত্র এক সেন্টিমিটারের জন্য গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটার্সের কাছে সোনা হারিয়েছেন নীরজ। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়োয় তিনি বলেছেন, “গত সোমবার অনুশীলন করতে নিয়ে চোট পাই। এক্স রে-তে দেখা যায় বাঁ হাতের চতুর্থ মেটাকার্পাল হাড়ে চিড় ধরেছে। আরও একটা কষ্টকর চ্যালেঞ্জ ছিল আমার কাছে। কিন্তু দলের সাহায্যে ব্রাসেলসের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছি।”
মেটাকার্পাল হাড় থাকে তালুতে। আঙুল এবং কব্জির সংযোগকারী হাড়কে মেটাকার্পাল বলা হয়। প্রত্যেক হাতে পাঁচটি করে মেটাকার্পাল হাড় রয়েছে। প্রতিটি আঙুলের সঙ্গে কব্জির সংযোগ করে এই হাড়।
অবশ্য নীরজ ডান হাতে ছোড়েন। তবে জ্যাভলিন হাত থেকে বেরনোর পর শরীরের টাল সামলাতে অনেক সময় মাটিতে বাঁ হাতের তালু ভর দেন। শনিবার রাতে তাঁকে ছ’টি থ্রোয়ের ক্ষেত্রেই বাঁ হাতের তালু দিয়ে শরীরের ভারসাম্য সামলাতে দেখা গিয়েছে। তবে ভিডিয়োয় নীরজ চোটের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি। মনে করা হচ্ছে তা সারতে কয়েক মাস লাগতে পারে।
এ বছর প্রত্যাশাপূরণ করতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন নীরজ। বলেছেন, “বছরের শেষ প্রতিযোগিতা ছিল। ট্র্যাকেই মরসুম শেষ করতে চেয়েছিলাম। নিজের প্রত্যাশাই পূরণ করতে পারিনি। তবে এই মরসুম থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এ বার পুরোপুরি ফিট হয়ে ট্র্যাকে ফিরতে চাই।”
নীরজ আরও বলেছেন, “২০২৪-এর মরসুম শেষ হওয়ায় যা যা শিখেছি সে দিকে মনোযোগ দিতে চাই। উন্নতি, ব্যর্থতা, মানসিকতা সব নিয়েই ভাবব। উৎসাহ দেওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। এ বছর আরও ভাল ক্রীড়াবিদ হয়ে উঠতে পেরেছি।”