উইম্বলডন রজারের শরীরের পরীক্ষা নেবে

ইংল্যান্ডে বেশ বৃষ্টি নেমেছে। আর উইম্বল়ডনের কোর্টগুলো মসৃণ দেখাচ্ছে। ঘাসের ডগাগুলো বেশ ভিজে আর নরম। যদি এ রকম বৃষ্টিই চলে চ্যাম্পিয়নশিপসে, তা হলে বেশ মজা। সত্যি বলতে, যখন কোনও কোর্ট সব সময় তার সত্যিকারের চেহারায় থাকে না, তখন বেশি করে অঘটনপ্রবণ হয়ে ওঠে।

Advertisement

লিয়েন্ডার পেজ

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৬ ০৯:১৩
Share:

ইংল্যান্ডে বেশ বৃষ্টি নেমেছে। আর উইম্বল়ডনের কোর্টগুলো মসৃণ দেখাচ্ছে। ঘাসের ডগাগুলো বেশ ভিজে আর নরম। যদি এ রকম বৃষ্টিই চলে চ্যাম্পিয়নশিপসে, তা হলে বেশ মজা। সত্যি বলতে, যখন কোনও কোর্ট সব সময় তার সত্যিকারের চেহারায় থাকে না, তখন বেশি করে অঘটনপ্রবণ হয়ে ওঠে।

Advertisement

কোর্ট মসৃণ থাকলে রজার ফেডেরার নিশ্চয়ই কোনও অভিযোগ করবে না। মসৃণ কোর্টই রজারের খেলার স্টাইলের উপযোগী। তবে এর চেয়েও এখন ওর কাছে বড় চিন্তার বিষয় হল, চোটের পর হাঁটুর রিহ্যাব ঠিকঠাক হয়েছে কি না। হার্ডকোর্টের তুলনায় ঘাসের কোর্টে হাঁটুর উপর চাপ কম পড়ে। বছরভর যে সারফেস থেকে পেশাদার ট্যুরে বেশি ডলার ওঠে সেই হার্ডকোর্ট কিন্তু শরীরের অত্যাধিক গতির মাশুলও নেয়। যেটাকে বলা হয়ে থাকে, সর্বোচ্চ লেভেলে তোমার ফিটনেসের ধারাবাহিকতার প্রমাণ। বিলেতের এই স্ল্যাম কিন্তু এ বার রজারের সেই ফিটনেসের পরীক্ষা নেবে।

আমার কাছাকাছি কোর্টে আগের দিন রজার প্র্যাকটিস করছিল উঠতি ফরাসি প্লেয়ার লুকাস পউলির সঙ্গে। ওকে দেখার পর বলতে বাধ্য হচ্ছি, রজার ওর চিরাচরিত নমনীয় অবস্থাতেই আছে। সত্যিকারের মৃসণ দেখাচ্ছে রজারকে।

Advertisement

এই মুহূর্তে ট্যুরের প্রধান লোকটার সঙ্গে আমার ভাল রকম বোঝাপড়া আছে। নোভাক জকোভিচের সাফল্যের রহস্য লুকিয়ে আছে ওর পারফেকশনিস্ট হয়ে ওঠার মধ্যে। সাত জন লোকের এমন একটা বাহিনী নিয়ে ও ঘোরাঘুরি করে, যারা ওর জীবনকে এমন এক নিখুঁত স্থিতিতে রাখে যে, কোর্টেও নোভাক নিখুঁত হয়ে ওঠার সময়টুকু পেয়ে যায়। আমার জানা ও-ই একমাত্র প্লেয়ার যে নিজের খাবার সম্পর্কে প্রচণ্ড খুঁতখুঁতে। চূড়ান্ত নির্দিষ্ট। প্রতিটা টুর্নামেন্টে নিজের গ্লুটেনহীন খাবারের বাক্স নিজেই হাতে করে আনে ও। শুধু তাই নয়, একটা নির্দিষ্ট ধরনের জলের বোতলও নিয়ে আসে মাঠে। এ সবের পরে ওর সঙ্গে থাকে একজন ট্রেনার। একজন ম্যাসিওর। দু’জন কোচ। একজন ম্যানেজার। আবার একজন ডাক্তারও। এটাই নিশ্চিত করে তোলার জন্য যে, নোভাক একটা নিখুঁত সুরেলা বাদ্যযন্ত্রের মতো সারাক্ষণ বাজবে।

নোভাক যখন আমার পিঠে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ টোকা মেরে পাশের কোর্টে ছুট মারল, দেখলাম আগের চেয়ে একটু রোগা হয়েছে। ওর লম্বা লম্বা স্ট্রাই়ডের বাউন্সগুলোই যেন বলে দিচ্ছিল, এক জন অ্যাথলিট তার ফর্মের তুঙ্গে আছে। নোভাক টেনিস খেলাটার সর্বকালের অন্যতম সেরার তকমায় সিলমোহর ফেলার অপেক্ষায় এখন। নিজের প্রস্তুতির পরিকল্পনা এত সিস্টেম মেনে আর টানা কঠিন পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে করে যায় যে, ট্যুরে এখন অনেক প্লেয়ারই গ্লুটেনহীন ডায়েট ধরেছে ওকে দেখে।

তবে মজার ব্যাপার, অনেকে এটা না বুঝেই সেরাদের অনুকরণ করে যে, নোভাককে যা মানায় তা তাদের মানায় কী না! এ বার উইম্বল়ডনে রজার আর নোভাককে খুব মন দিয়ে নজরে রাখব। এক চ্যাম্পিয়নের দরকার তার বর্তমান ফর্মকে ছাপিয়ে যাওয়ার। তার প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যাম্পিয়নের অসাধারণ প্রাধান্যকে আটকাতে। এটা বেশ আকর্ষণীয় একটা চিত্রনাট্য তৈরি করবে। তাই না?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement