আগ্রাসী: স্ট্রেট সেটে জিতে চতুর্থ রাউন্ডে উঠলেন জোকোভিচ। ছবি: রয়টার্স।
উইম্বলডনে যত রাউন্ড এগোচ্ছে, তত ছন্দে ফিরছে নোভাক জোকোভিচ। প্রথম রাউন্ডে যতটা সতর্ক ছিল সেটা কিন্তু তৃতীয় রাউন্ডে দেখা যাচ্ছে না। বরং তার জায়গায় আত্মবিশ্বাসে ভরপুর দেখাচ্ছে ছ’বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নকে। যে গত তিন বারও পরপর ট্রফি জিতেছে এখানে। শুক্রবার নিজের দেশ সার্বিয়ারই মিয়োমির কেচমানোভিচকে হারিয়ে চতুর্থ রাউন্ডে উঠে গেল জোকোভিচ। ফল ৬-০, ৬-৩, ৬-৪। চতুর্থ রাউন্ডে ওকে খেলতে হবে অবাছাই নেদারল্যান্ডসের টিম ফান রাইতোফানের সঙ্গে।
রাফায়েল নাদালের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা দেখেও খুশি হতে পারলাম না। বড্ড বেশি রক্ষণাত্মক খেলছে। বরং ওর উল্টো দিকে যে ছিল বৃহস্পতিবার, সেই রিকার্ডাস বেরাঙ্কিস ভাল খেলেছে। ফর্মেও ছিল। দ্বিতীয় সেটেও ওর জেতার সুযোগ ছিল। স্কোর দেখে অবশ্য সেটা বোঝার উপায় নেই। সেখানে দেখাচ্ছে নাদাল চার সেটে বেরাঙ্কিসকে হারিয়েছে। বৃহস্পতিবার কোর্টে খুব হাওয়াও হচ্ছিল। দু’জনকেই সেটা সামলে খেলতে হয়েছে। তবে এই পর্যায় থেকে নাদাল যদি নিজের খেলাটা আরও এক ধাপ না তুলে ধরতে পারে, তা হলে কিন্তু সমস্যায় পড়তে হবে ওকে।
তরুণ প্রজন্মের খেলোয়াড়েরা কিন্তু অঘটন ঘটানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছে। যেমন চতুর্থ বাছাই স্টেফানোস চিচিপাস, অস্ট্রেলিয়ার বিতর্কিত খেলোয়াড় নিক কিরিয়স, পঞ্চম বাছাই কার্লোস আলকারাজ়, দশ নম্বর বাছাই ইটালির ইয়ানিক সিনারদের দিকেই নজর বেশি। সিনার স্ট্রেট সেটে তৃতীয় রাউন্ডে হারাল জন ইসনারকে। শনিবার কিরিয়সের সঙ্গে চিচিপাসের খেলা রয়েছে। যা নিয়ে প্রচুর আগ্রহ রয়েছে এখানে। কিরিয়স কিন্তু খুব ভাল ছন্দেও আছে। ওর সমস্যা হল মাঝে মধ্যেই মেজাজ হারিয়ে ফেলে সমস্যায় পড়ে যায়। যদি কিরিয়স নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তা হলে ও বড় অঘটন ঘটানোর ক্ষমতা রাখে। বছর আটেক আগে ও কিন্তু নাদালকে এখানে হারিয়েছিল শেষ ষোলোতে। এ বারও খুব ভাল খেলছে। আলকারাজও চতুর্থ রাউন্ডে উঠল। স্ট্রেট সেটে হারাল অস্কার ওটেকে।
করোনার সংক্রমণে পুরুষদের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ২০তে থাকা তিন জন খেলোয়াড় ছিটকে গিয়েছে। মাত্তেয়ো বেরেত্তিনি, মারিন চিলিচের পরে বৃহস্পতিবার সরে দাঁড়াল রবার্তো বাতিস্তা আগুতও। তবে এখানে কিন্তু করোনা নিয়ে সে রকম আতঙ্ক নেই। মাস্ক ছাড়াই খেলা উপভোগ করতে আসছেন বেশির ভাগ দর্শক।