সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
উইম্বলডন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এক বাঙালি। দাপট এতটাই যে, একেবারে সেমিফাইনালে চলে গেছে সে। চমকে যাওয়ার মতোই ঘটনা। সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৭ বছরের এই ব্রাহ্মণ সন্তান উইম্বলডন জুনিয়র্সের শেষ চারে। তবে ভারতীয় নয়, সমীরের পরিচিতি সে আমেরিকার।
শুক্রবার ক্রোয়েশিয়ার মিলি পোলিসাককে কোয়ার্টার ফাইনালে ৬-১, ৬-১ গেমে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে সমীর। তার আগে অবাছাই সমীরের হাতে তৃতীয় রাউন্ডে ৬-২, ৬-১ গেমে উড়ে গিয়েছে পঞ্চম বাছাই ব্রাজিলের খেলোয়াড়। গত মাসে ফরাসি ওপেনে অবশ্য প্রথম রাউন্ডেই হেরে যেতে হয় তাকে।
জয়দীপ মুখোপাধ্যায় এবং তারপর মাইকেল মধুসূদন দত্তের বংশধর লিয়েন্ডার পেজ। উইম্বলডনে বাঙালি আবেগ এটুকুই। অনাবাসী হলেও সেই আবেগ নিঃসন্দেহে আর একটু বাড়িয়ে দিচ্ছে আমেরিকার নিউ জার্সির বাস্কিং রিজে থাকা সমীর।
এই মুহূর্তে সমীর জুনিয়র ক্রমতালিকায় ১৯ নম্বরে রয়েছে। ফরাসী ওপেনে শুরুতেই ছিটকে যেতে হলেও পরিসংখ্যান বলছে, রাফায়েল নাদালের মতোই ক্লে-কোর্টে সমীর বেশি সফল। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া টেনিস কেরিয়ারে ক্লে-কোর্টে ৩৬টি ম্যাচ জিতে হেরেছে মাত্র পাঁচটিতে। হার্ড কোর্টে সাফল্যের হার ৭০ শতাংশ। আর ঘাসের কোর্টে এই বছরই প্রথম খেলছেন।
২০১৯ সালে দিল্লিতে খেলে গেছে সমীর। সেই আইটিএফ জুনিয়র্সে কোয়ার্টার ফাইনালে হারতে হয় তাকে।
এখানকার টেনিস মহলে খোঁজ করেও সমীর সম্পর্কে কিছুই জানা গেল না। সর্বভারতীয় টেনিস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলার টেনিস অ্যাসেসিয়েশনের কর্তারা কখনও নাম শোনোননি সমীরের।