আগ্রহ বেশি রোনাল্ডো, লুকাকুদের নিয়েই। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
একই সময়ে বিশ্বের দুই প্রান্তে চলছে দুই ফুটবল প্রতিযোগিতা। একদিকে ইউরোপের ১১টি শহরে হচ্ছে ইউরো, অন্যদিকে ব্রাজিলে চলছে কোপা। তবে ইউরো নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ আগের মতোই তুঙ্গে থাকলেও, কোপা নিয়ে উৎসাহ কমেছে।
নেমার, লিয়োনেল মেসি, লুই সুয়ারেসরা যে প্রতিযোগিতায় খেলেন, তাদের নিয়ে উৎসাহে হঠাৎ ভাটা পড়ছে কেন? বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মত এবং আলোচনা থেকে উঠে এসেছে বেশ কিছু কারণ।
প্রথমেই উঠে এসেছে তারকা ফুটবলারদের ব্যাপারটি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোই শুধু নন, ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশেই এক বা একাধিক নামীদামী ফুটবলার রয়েছেন। ইউরোপের বিভিন্ন লিগে যাঁরা দিনের পর দিন মাতাচ্ছেন।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
অন্যদিকে, মেসি, নেমার, সুয়ারেস বাদে কোপায় তারকা বলতে সে ভাবে কেউই নেই। চিলির অ্যালেক্সিস স্যাঞ্চেস বা আরতুরো ভিদাল, উরুগুয়ের এডিনসন কাভানিরা কেরিয়ারের কার্যত শেষের দিকে। তাঁদের নিয়ে নতুন প্রজন্মের উৎসাহ কম।
ইউরো কাপের প্রতিযোগিতার মান অনেক বেশি। এখানে সুইৎজারল্যান্ড হারিয়ে দিতে পারে ফ্রান্সকে। ইটালি বা স্পেনকে কড়া বাধার মুখে ফেলতে পারে ক্রোয়েশিয়া, অস্ট্রিয়ার মতো দল।
কিন্তু কোপায় ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, ইকুয়েডরের মতো দলগুলির ধারাবাহিকতা প্রায় নেই। ভাল ফুটবলারের সংখ্যাও কম। তাই ব্রাজিল, আর্জেন্তিনার মতো বড় দাদাদের চাপে ফেলার মতো ফুটবলার নেই।
কোপায় খেলতে গেলে যোগ্যতা অর্জনের কোনও ব্যাপার নেই। এই মহাদেশের ১০টি দেশই প্রতি বার খেলার সুযোগ পায়। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বেও এদের খেলা দেখা যায়। তা ছাড়া, ইউরো প্রতি চার বছর অন্তর হলেও (এবার করোনার জন্য এক বছর পিছিয়েছে), গত পাঁচ বছরে চার বার হয়েছে কোপা। ফলে এই প্রতিযোগিতা ক্রমশ জৌলুস হারাচ্ছে।
বাকি থাকল পুরস্কারমূল্য এবং সম্প্রচার। সেখানেও ইউরো বহু যোজন এগিয়ে। ইউরো কাপে জিতলে সেই দেশ ভারতীয় মুদ্রায় ৭৪.৫ কোটি টাকা পুরস্কার পায়। কোপায় অঙ্কটা ৪১ কোটির মতো। সম্প্রচারে অনেক এগিয়ে ইউরো কাপ। কারণ, এখানে ম্যাচের সময় রাখা হয় দর্শকদের সুবিধা মতো। কোপায় সে রকম কোনও ব্যাপার নেই।