অর্জন নাগওয়াসওয়ালা ফাইল ছবি
শুক্রবার বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল এবং ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা হতেই একজনের নাম সবার নজরে। তিনি অর্জন নাগওয়াসওয়ালা। মূল দলে নয়, তাঁকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রিজার্ভ সদস্য হিসেবে। অর্থাৎ, নেট বোলার হিসেবে বাকিদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করবেন। কিন্তু অর্জনের কাছে এটুকুই অনেক বড় প্রাপ্তি।
১৯৭৫-এ শেষ বার ভারতের হয়ে খেলেছিলেন ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার। তারপরে পার্সি সম্প্রদায়ের এই প্রথম কেউ জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত হলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে দাপট দেখানোতেই রিজার্ভ দলে সুযোগ পেয়েছেন। ২০১৯-২০ রঞ্জি মরসুমে ৮ ম্যাচে ৪১ উইকেট পেয়েছিলেন অর্জন। ইউটিউবে তাঁর সেই ইনসুইঙ্গার, ইয়র্কার এবং বাউন্সারের ভিডিয়ো রয়েছে।
তাঁর বোলিং অ্যাকশন অনেকটা জাহির খানের মতো। খোদ জাহির এসে তাঁকেই বলেছিলেন সেটা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নেটে বোলিং করার সময় এই ঘটনা ঘটেছিল। অর্জন বলেছেন, “আমার কাছে এগিয়ে এসে উনি একদিন বললেন, ‘তোমার বোলিং স্টাইল অনেকটা আমার মতো’। এই সফর আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।”
গুজরাতের নেরগাল গ্রামে নাগওয়াসওয়ালারাই একমাত্র পার্সি পরিবার। বাকিরা অনেকদিন আগেই পাড়ি দিয়েছেন মুম্বই। সেই সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা প্রমাণিত। মুম্বইয়ের ক্রিকেটের তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি অর্জনকে। গুজরাতে জুনিয়র স্তর থেকে অনায়াসেই উপরে উঠে এসেছেন। একটানা ১৩৫ কিমির উপরে বল করতে পারেন। হাতে সুইং রয়েছে। বল গুড-লেংথে ফেলেও বাউন্স করাতে পারেন অর্জন।