ভারতীয় ক্রিকেটের থ্রি মাস্কেটিয়ার্স। সচিন-সৌরভ ও দ্রাবিড়। —ফাইল চিত্র।
শেষ হয়েও লর্ডসের ন্যাটওয়েস্ট ফাইনাল যেন শেষ হয়নি। ভারতের দুরন্ত জয় নিয়ে গল্পেরও তাই অন্ত নেই। ভারতের প্রাক্তন উইকেট কিপার অজয় রাতরা জানালেন, ইংল্যান্ডের ৩২৫ রান তাড়া করার আগে সচিন, সৌরভ ও দ্রাবিড়ের ভোকাল টনিকে তেতে উঠেছিল টিম ইন্ডিয়া।
রাতরা বলছেন, ‘‘সেই সময়ে ৩২৫ বিশাল রান। আর লর্ডসের মতো মাঠে সেই রান তাড়া করা দারুণ কঠিন। কারণ লর্ডস ইংল্যান্ডের ঘরের মাঠ। ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির শুরু থেকেই দারুণ খেলছিল ইংল্যান্ড। ওরা বড় রান করে ফেলায় আমাদের ড্রেসিং রুমও থমথমে ছিল। কিন্তু রান তাড়া করতে নামার আগে সচিন, দ্রাবিড় ও দাদা একটাই কথা বলেছিল, আমরা আমাদের সহজাত খেলাটাই খেলব। তার পর যা হয় হবে।’’
ভারতীয় ক্রিকেটের ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের সেই ‘পেপ টক’ সতীর্থদের রীতিমতো তাতিয়ে দিয়েছিল। ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালে অবশ্য রাতরা খেলেননি। কিন্তু সে দিনের ফাইনালের প্রতিটি মুহূর্ত এখনও মনে রয়েছে তাঁর। রাতরা বলছিলেন, ‘‘আমাদের ব্যাটিং লাইন আপ দারুণ শক্তিশালী ছিল। বীরু আর দাদা শুরুটা বেশ ভাল করেছিল। বড় রান যখন তাড়া করা হচ্ছে, তখন কাজটা কঠিনই থাকে। দাদা ও বীরু ওপেন করতে নেমে শুরুটা বেশ ভাল করে দেওয়ায় আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল।’’
আরও পড়ুন: ‘আমি ভারতের হয়ে খেলতে চাই’, বলছেন লাল-হলুদের নতুন বিদেশি
কিন্তু সৌরভ ও সহবাগের ভাল শুরুর পরেও ভারতীয় ব্যাটিংয়ে ধস নামে। এক সময়ে ভারতের রান হয়ে গিয়েছিল পাঁচ উইকেটে ১৪৬। তার পরেই যুবরাজ ও মহম্মদ কাইফ অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন। তিন বল বাকি থাকতে ভারত ম্যাচ জিতে যায়।
লর্ডসের ব্যালকনিতে সৌরভ জার্সি ওড়ান। রাতরা সেই প্রসঙ্গে বলেন, “ইংল্যান্ডে খেলতে আসার আগে দেশের মাটিতে দুই দেশের সিরিজ হয়েছিল। আমরা ৩-১ ফলে একসময়ে এগিয়েছিলাম। কিন্তু সিরিজের বাকি দুটো ম্যাচ জিতে ইংল্যান্ড সিরিজে সমতা ফেরায়। ওয়াংখেড়েতে ফ্লিনটফ ওর জার্সি উড়িয়েছিল। দাদার তা মনে ছিল। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিশাল রান তাড়া করে জেতার পরে জামা উড়িয়ে ফ্লিনটফকে জবাব দিয়েছিল দাদা।’’