ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। —ফাইল ছবি।
দেশের কুস্তিগিরদের একাংশের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শক্তি প্রদর্শনে নামতে চলেছেন সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। আগামী ১১ জুন উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় নিজের লোকসভা কেন্দ্র কর্নেলগঞ্জে পদযাত্রা করতে পারেন তিনি। তাঁর প্রতি সমর্থনের পাল্লা কতটা ভারী, তা প্রমাণ করাই লক্ষ্য বিজেপি সাংসদের।
বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটদের মতো দেশের সেরা কুস্তিগিরেরা ব্রিজভূষণের পদত্যাগ এবং গ্রেফতারির দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করেছেন দিল্লিতে। কুস্তি কর্তার বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর করেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, নানা অছিলায় বিভিন্ন সময় মহিলা খেলোয়াড়দের হেনস্থা করেছেন ব্রিজভূষণ। বজরং, সাক্ষীদের আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন দেশের প্রথম সারির ক্রীড়াবিদদের একাংশ। পঞ্জাব, হরিয়ানার খাপ পঞ্চায়েত এবং কৃষক সংগঠনের নেতারাও তাঁদের পাশে রয়েছেন। এই অবস্থায় ব্রিজভূষণের উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। যদিও প্রথম থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ২০১২ সাল থেকে সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারশনের শীর্ষ পদে থাকা বিজেপি সাংসদ।
প্রথমে ৫ জুন অযোধ্যায় পদযাত্রা করার কথা বলেছিলেন ব্রিজভূষণ। জেলা প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় দিন এবং স্থান পরিবর্তন করেছেন। উপলক্ষ্য হিসাবে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের ন’বছর পূর্তির কথা বলা হচ্ছে তাঁর ঘনিষ্ঠদের তরফে। যদিও কেন্দ্রের সাফল্যকে সামনে রেখে নিজের শক্তি প্রদর্শনই আসল লক্ষ্য ব্রিজভূষণের। সূত্রের খবর, তাঁর পদযাত্রায় দেখা যেতে পারে একাধিক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে। এই পদযাত্রার পোশাকি নাম ‘জন চেতনা মহার্যালি’।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ব্রিজভূষণ লিখেছেন, ‘‘প্রিয় শুভানুধ্যায়ীগণ, আপনাদের সমর্থনে গত ২৮ বছর লোকসভার সদস্য হিসাবে কাজ করছি। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের মধ্যে একতা রক্ষার চেষ্টা করছি দীর্ঘ দিন ধরে। শাসক দল বা বিরোধী দল যেখানেই থেকেছি, নিজের কাজ করে গিয়েছি। তাই রাজনৈতিক বিরোধীরা আমার বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ এনে ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছেন।’’
কুস্তিগিরদের আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক মদতের কথা বলেছেন ব্রিজভূষণ। চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে একটিও প্রমাণ থাকলে অভিযোগকারীরা আদালতে তা পেশ করুন। দোষ প্রমাণ হলে শাস্তি মাথা পেতে নেবেন।