ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই দল তৈরি করতে চাইছে সবাই। ক্যারিবিয়ানদেরও লক্ষ্য সেই দিকে। তাই দলে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের ভারসাম্য রাখার চেষ্টা। দলে ফেরানো হল সুনীল নারাইন ও কায়রন পোলার্ডকে। দেখে নেওয়া যাক চোদ্দজনের দলে কারা রয়েছেন।
জন ক্যাম্পবেল- ক্রিস গেল খেলবেন না ভারতের বিরুদ্ধে টি২০ ম্যাচে। কারণ তিনি কানাডার টি২০ লিগে ব্যস্ত থাকবেন। তাই ডাক পড়েছে ক্যাম্পবেলের। অভিজ্ঞতা কম, কিন্তু গেলের ক্রিকেট কেরিয়ারওশেষের দিকে। তাই নতুনদের দেখে নিতেই হবে।
ইভেন লুইস- বিশ্বকাপে পাঁচটা ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন, করেছেন দুটো অর্ধশতরান। বিধ্বংসী এই ওপেনার ভারতের বিরুদ্ধে গেলহীন ক্যারিবিয়ান ওপেনিং-এ বড় ভরসা। দেখা যাক কী করতে পারেন লুইস।
শিমরন হেটমেয়ার- অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ থেকে উঠে আসা এই মারকুটে ব্যাটসম্যানের দিকে নজর রয়েছে বেশ কিছু বছর ধরেই। তবে আইপিএল-এ বিরাটের দলের হয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। দেখা যাক বিরাটের বিরুদ্ধে কী করেন হেটমেয়ার।
নিখলস পুরান- এই দলের উইকেটরক্ষার দায়িত্ব পুরানের। তবে ব্যাট হাতেও যে তিনি ভরসা যোগাতে পারেন তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বিশ্বকাপেই। ভারতের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে সেই ছন্দ কি ধরে রাখতে পারবেন ২৪ বছরের এই তরুণ উইকেটরক্ষক?
কায়রন পোলার্ড- ৩৩ বছরের অলরাউন্ডার একার হাতেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই সমান পারদর্শী তিনি। আইপিএলের সুবাদে ভারতের খেলোয়াড়দের ভালই চেনেন তিনি। সেই জন্যেই কি দলে ফেরানো হল ভারতের বিরুদ্ধে?
রোভমান পাওয়েল- গত বছরের ডিসেম্বরের পরে আবার ফেরানো হল দলে এই ব্যাটসম্যানকে। নতুন সুযোগ নিজেকে প্রমাণ করার এই মিডল অর্ডার ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানের সামনে।কাজে লাগাতে পারলে দলে নিয়মিত হতেই পারেন তিনি।
কার্লোস ব্রেথওয়েট- দলের অধিনায়কের দায়িত্ব এই অলরাউন্ডারের কাঁধে। জেসন হোল্ডার এই দলে না থাকায় এই গুরুদায়িত্ব ছয় মেরে দেশকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া ব্রেথওয়েটের ওপর। তাঁর সেই বিধ্বংসী ইনিংস আজও ভুলতে পারেনি ক্রিকেট বিশ্ব।
কিমো পল- ২১ বছরের এই অলরাউন্ডার বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাননি। এবার কি কাজে লাগাতে পারবেন এই সুযোগ? এই দলে তরুণদের দেখে নেওয়ার আরও এক উদাহরন তিনি।
সুনীল নারাইন- দুই বছর পর আবার দলে ফেরানো হল এক সময়ের বিস্বয় স্পিনারকে। ৩১ বছরের এই স্পিনার আইপিএলে নিয়মিত। সেই অভিজ্ঞতা কি কাজে লাগবে ভারতের বিরুদ্ধে? কলকাতার হয়ে ওপেনিং-এ চমক সৃষ্টি করেন অনেক ম্যাচেই, ক্যারিবিয়ানরা কী সেই কাজে ব্যাবহার করবেন তাঁকে?
শেল্ডন কটরেল- উইকেট নিয়ে তাঁর স্যালুট এখন বিখ্যাত। বিশ্বকাপে ১১টি উইকেট নিয়ে ফর্মে থাকার প্রমাণ দিয়েছেন। সেই ফর্ম কি ভারতের বিরুদ্ধেও ধরে রাখতে পারবেন এই পেস বোলার? সেই দিকেই তাকিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাহিনী।
ওসানে থমাস- বয়স কম, অভিজ্ঞতাও কম নতুন বোলারদের মধ্যে বেশ সাড়া জাগানো নাম। আইপিএলেও সুযোগ পেয়েছেন ইতিমধ্যেই। নিজেকে প্রমাণ করার বড় সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন কিনা সেই অপেক্ষায় ক্যারিবিয়ানরা।
অ্যান্টনি ব্র্যাম্বেল- ২৮ বছর বয়সে প্রথম ডাক জাতীয় দলে এই উইকেটরক্ষকের। শে হোপের বিশ্রামের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য মুখিয়ে থাকবেন তা বলাই বাহুল্য। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২০০০-এর ওপরে রান। তবে শেষ টি২০ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৬ সালে।
আন্দ্রে রাসেল- ভয়ঙ্কর এই অলরাউন্ডার চোটের জন্য বিশ্বকাপের মাঝ পথেই ছিটকে গিয়েছিলেন। তবে মনে করা হচ্ছে এখন তিনি সুস্থ। ভারতের বিরুদ্ধে ফিরে ক্যারিবিয়ানদের শক্তি যে বাড়িয়ে দিলেন কয়েক গুণ তা বলাই যায়।
খারি পিয়েরি- ভারতের বিরুদ্ধেই গত বছর অভিষেক হয় এই অলরাউন্ডারের। তিনটি টি২০ ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২৭ বছরের এই ক্যারিবিয়ান নতুন ত্রাস হতে পারেন কিনা তা সময় বলবে।