এই যুগের ক্রিকেটে ফিটনেস আইকন ধরা হয় বিরাট কোহালিকে। ফিটনেস নিয়ে তিনি যেন এক নতুন দিশা দেখিয়েছেন ক্রিকেট ইতিহাসে। কিন্তু তাও কি তাঁর পক্ষে ৮৫ বছর অবধি ক্রিকেট খেলা সম্ভব?
অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন, যে বয়সে হাঁটুর ব্যথা, কোমরের ব্যথায় মানুষ উঠতে বসতে স্মরণ নেয় ওষুধের,সেই বয়সে কি করে একজন ক্রিকেট খেলতে পারে? তাও আবার নাতি-নাতনিদের সঙ্গে বাড়ির বাগানে নয়, রীতিমতো মাঠে নেমে ক্রিকেট।
ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্রিকেটার উইলফ্রেড রোডসের ক্রিকেট কেরিয়ার ছিল ৩০ বছর ৩১৫ দিনের। আরেক ইংরেজ ডেনিস ব্র্যায়ান ক্লোস খেলেছেন ২৭ বছর ধরে। যদিও তিনি খেলতে এসেছিলেন ১৮ বছর বয়সে। সচিন এসেছিলেন ১৬ বছর বয়সে, খেলেছেন ২২ বছর। সেখানে ইনি ৬০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছেন!
৫২ বছর বয়সে রোডস, ৫০ বছর বয়সে ডব্লিউ জি গ্রেস খেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তাই বলে ৮৫ বছরে ক্রিকেট! ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।কে ইনি?
নাম সেসিল রাইট। জন্ম জামাইকায়। বয়স ৮৫। ক্রিকেট কেরিয়ারের বয়স ৬০ পেরিয়েছে। এখনও অবসর নেননি। এই বছরের ৭সেপ্টেম্বর তিনি তাঁর বুট জোড়া তুলে রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
ক্রিকেট বিশ্বে সেসিলের আবির্ভাব ঘটে জামাইকার হয়ে। প্রতিপক্ষ ছিল বার্বাডোজ। যে দলে ছিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি স্যর গারফিল্ড সোবার্স, ওয়েস হেলের মতো ক্রিকেটাররা।
ক্যারিবিয়ান এই ফাস্ট বোলার দাবি করেছেন, ইতিমধ্যেই তিনি নাকি দুই লক্ষ ক্রিকেট ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তাঁর আরও দাবি, তিনি নিয়েছেন সাত হাজারের বেশি উইকেট।
তিন বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলার পর তিনি চলে যান ইংল্যান্ডে। বিয়ে করেন এনিড নামে এক মহিলাকে। তারপর থেকে ইংল্যান্ডেই থেকে যান তিনি। তাঁর এত বয়স অবধি খেলার রহস্যও ফাঁস করেছেন তিনি।
এই বয়স অবধি ক্রিকেট খেলার স্ট্যামিনা ধরে রাখতে কী করেছেন তিনি? সেসিলের দাবি, আর পাঁচ জন যা খান, তাঁর মেনুতেও থাকে মোটামুটি একই খাবার। কিন্তু তিনি নাকি বিয়ার ছাড়া কিছুই পান করেন না। বসে থেকে অলস জীবন কাটানো একদম না পসন্দ তাঁর।
তাই চিন্তায় রয়েছেন আগামী সপ্তাহে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর কী ভাবে কাটাবেন অবসর সময়।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, আব্দুর রজ্জাক, জিমি অ্যান্ডারসনদের মতো যে সব ক্রিকেটাররা বয়সের জন্য অবসর নেবেন কিনা ভাবছেন,সেসিলকে দেখে তাঁরাও আরও একবার ভেবে দেখতে পারেন। টিপস নিতে পারেন সেসিলের থেকে।