বিরাট কোহালি।—ছবি এএফপি।
তিন বছর আগের সেই স্মরণীয় রাত। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং বিরাট কোহালির ব্যাটের শাসনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
সেই ছবি আরও একবার ফিরল মোহালি স্টেডিয়ামে। নন-স্ট্রাইকে তাঁর প্রাক্তন অধিনায়ক ছিলেন না। কিন্তু কোহালিয়ানা দেখা গেল পুরোদস্তুর। ৫২ বলে অপরাজিত ৭২। ইনিংসে রয়েছে চারটি চার এবং তিনটি বিশাল ছয়। যার মধ্যে একটি ছয় এল কাগিসো রাবাডার ডেলিভারিকে ফ্লিক করে গ্যালারিতে পাঠিয়ে দিয়ে। স্ট্রাইক রেট ১৩৮.৪৬।
ম্যাচের শেষে প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর প্রশ্নটা ছুড়ে দিলেন। তিন বছর আগের সেই রাতের কথা কি মনে পড়ে? তৃপ্তির হাসি মুখে ভারত অধিনায়কের মন্তব্য, ‘‘ঘটনাটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ওটাই এখনও পর্যন্ত আমার জীবনের সেরা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সেই ইনিংস আরও উজ্জীবিত করে দিয়েছিল।’’ সেখানেই না থেমে কোহালি আরও বলেছেন, ‘‘নিঃসন্দেহে ওটা আমার কাছে দারুণ সুন্দর একটা স্মৃতি। তবে এই ইনিংসও দারুণ। উইকেটের চরিত্র একটু অন্য ধরনের ছিল।’’ যোগ করেছেন, ‘‘এই পিচে বোলারদের শুরুটা ভাল করার খুব দরকার ছিল। ওরা কিন্তু তা করেও দেখিয়েছে। সেটাই আমাদের ম্যাচে ফিরে আসার কাজ সহজ করে দেয়।’’
বুধবারের দলে ছিলেন দীপক চাহার, ওয়াশিংটন সুন্দর, নবদীপ সাইনির মতো তিন তরুণ যোদ্ধা। তৃপ্ত অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমরা এটা দেখে নিতে চাইছিলাম, নতুন ছেলেরা চাপের মুখে কী ভাবে পাল্টা লড়াই করে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে। সেই প্রক্রিয়া আমাদের দলে শুরু হয়েছে।’’
এ দিনই আরও এক কীর্তিস্থাপন করে ফেললেন কোহালি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সতীর্থ রোহিত শর্মাকে (৯৭ ম্যাচে ২৪৩৪ রান) পিছনে ফেলে সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী হয়ে গেলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত ৭১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাঁর মোট রান দাঁড়িয়েছে ২৪৪১। গড় ৫০.৮৫। ২২টি হাফসেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৯০। তিন ফর্ম্যাটের ক্রিকেটেই তাঁর অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে বিরাটের মন্তব্য, ‘‘আমার জার্সিতে একটা ব্যাজ লাগানো রয়েছে। যে কোনও অবস্থায় দেশের হয়ে খেলা আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘দেশের জার্সিই সেরা প্রেরণা। আমার লক্ষ্যই থাকে, যে কোনও পরিস্থিতিতে দলকে জেতানো। যদি আপনার মধ্যে দলকে জেতানোর ইচ্ছা কাজ করে, তা হলেই একটা পথ খুঁজে পেতে পারেন।’’