শাহবাজ আহমেদ ও অনুষ্টুপ মজুমদার।
দু’জনেই মাঝের সারির ব্যাটসম্যান। নতুন বলে খেলতে স্বচ্ছন্দ নন। বলের পালিশ উঠে গেলে ইনিংস গড়ে তোলার দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁদের কাঁধে।
চলতি রঞ্জি ট্রফি মরসুমে নতুন বল সামলানোর পরীক্ষা এড়াতে পারেননি তাঁরা। দিল্লির বিরুদ্ধে বাংলার টপ অর্ডার দ্রুত ফিরে যাওয়ার পরে ৯৯ রান করে যান অনুষ্টুপ। রাজস্থানের বিরুদ্ধে যখন সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন, বোলারদের সঙ্গে ব্যাট করে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস খেলে বাংলাকে জেতান শাহবাজ। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অনুষ্টুপ করেন ৫৯ রান। শাহবাজ আউট হন ৪৯ রানে। বিপদের মুখ থেকে কী ভাবে দলকে ফিরিয়ে আনতে হয়, চলতি মরসুমে বেশ কয়েক বার দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার কোয়ার্টার ফাইনালে ওড়িশার বিরুদ্ধে ভেঙে পড়া ব্যাটিং লাইন-আপকে তুলে ধরলেন সেরা ইনিংসের সৌজন্যে। ১৩৬ রানে অপরাজিত অনুষ্টুপ। ৮২ রানে ব্যাট করছেন শাহবাজ।
তিন বছর পরে সেঞ্চুরি করা অনুষ্টুপকে প্রশ্ন করা হয়, কী ভাবে সেই পরিস্থিতি থেকে দলকে বাঁচালেন তিনি? আনন্দবাজারকে অনুষ্টুপ বলেন, ‘‘নিজেকে বুঝিয়েছি, বিপক্ষের প্রলোভনে পা দেব না। সকালের দিকে এই পিচ থেকে সাহায্য পাচ্ছিল পেসাররা। প্রয়োজন ছিল উইকেট কামড়ে পড়ে থাকার। সুষ্ঠু ভাবেই তা পেরেছি।’’ যোগ করেন, ‘‘আগেও চাপের মুহূর্ত থেকে দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছি। এ ধরনের পরিস্থিতি সত্যিই উপভোগ করি।’’ শাহবাজের সঙ্গে ১৬৭ রানের জুটি গড়েছেন। কী কথা হয়েছিল দু’জনের মধ্যে? অনুষ্টুপ বলছিলেন, ‘‘শাহবাজকে বলার কিছু নেই। এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য ও আদর্শ। শ্রীবৎসের ইনিংসকেও নম্বর কম দেওয়া উচিত না।’’ অন্য দিকে রঞ্জির প্রথম সেঞ্চুরির মুখে শাহবাজ। তাঁর জবাব, ‘‘ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় একাধিক কঠিন অঙ্কের উত্তর বার করেছি। তাই আমাকে এইসব সমস্যায় ফেলতে পারে না।’’
পার্থিবের শতরান: রঞ্জি ট্রফির অন্য কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে গোয়ার বিরুদ্ধে গুজরাত প্রথম দিনের শেষে করেছে ৩৩০-৪। পার্থিব পটেল অপরাজিত রয়েছেন ১১৮ রানে।