ছবি এএফপি।
জ়িনেদিন জ়িদানের প্রশিক্ষণে রিয়াল মাদ্রিদ তিন বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে! কিন্তু এ বারের লা লিগা খেতাবটাই ফরাসি কিংবদন্তির কাছে সব চেয়ে আনন্দের। বৃহস্পতিবার ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে ট্রফি নিশ্চিত করে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অবশ্যই বিরাট ব্যাপার। তবু লা লিগা জিতলে বেশি খুশি হই। এই লিগ অবশ্য আগেও জিতেছি। কিন্তু এ বার দু’মাস ঘরে আটকে ছিলাম। ফিরে এসে নতুন ভাবে নিজেদের তৈরি করতে হয়েছে। আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য প্রত্যেকে প্রচুর ত্যাগ স্বীকার করেছে।’’ যোগ করেন, ‘‘কী যে আনন্দ হচ্ছে, বোঝাতে পারব না। ছেলেরা অবিশ্বাস্য একটা কাজ করল। আজ এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি যে ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে!’’
অতিমারির জন্য লা লিগা বন্ধ হওয়ার আগে রিয়াল খুব ভাল খেলছিল না। তখন লিয়োনেল মেসির বার্সেলোনা কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল। কিন্তু আবার খেলা শুরু হলে, করিম বেঞ্জেমারা টানা দশ ম্যাচ জিতে চমকে দিলেন। অনেকে বলছেন, রিয়ালের সাফল্যে ভিডিয়ো প্রযুক্তির ‘পক্ষপাতিত্ব’ রয়েছে। জ়িদান মানছেন না। বিশেষ করে বারবার বার্সেলোনা শিবিরের থেকে এই অভিযোগই তোলা হয়েছে করোনা পরবর্তী সময়ে লা লিগা শুরু হওয়ার পরে। বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট জোশেপ মারিয়া বার্তোমিউ পর্যন্ত গোল প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার কথা জানিয়েছিলেন। জ়িদান সেই বক্তব্যকে রাতারাতি খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, ‘‘রিয়ালই এক নম্বর দল। লা লিগায় সব চেয়ে বেশি পয়েন্ট তো আমরাই পেয়েছি। এর বাইরে আর কিছু কথা থাকতে পারে বলে আমি মনে করি না।’’ আরও মন্তব্য, ‘‘পেশাদার কোচ হিসেবে আজকের দিনটা জীবনের অন্যতম সেরা। মাঠে নেমে আসল লড়াই যদিও ফুটবলারেরা লড়েছে। কোচ হিসেবে আমি শুধু মাঠের বাইরে থেকে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি।’’
করোনা সংক্রমণের জেরে প্রতিবারের মতো এ বার বাসে করে রিয়াল মাদ্রিদ বিজয় মিছিল করবে না। প্লাজ়া দে সিবেলেসে ভক্তদের সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠারও এ বার কোনও সুযোগই নেই বেঞ্জেমাদের। বৃহস্পতিবার ফাঁকা স্টেডিয়ামে ট্রফি হাতে তোলাটাও ফরাসি কোচের কাছে অদ্ভুত লেগেছে। তবু বলেছেন, ‘‘নিজের নিজের বাড়িতেই মর্থকেরা আজ নিশ্চয়ই দারুণ আনন্দ করেছেন।’’ জ়িদানকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেসের বক্তব্য, ‘‘জ়িদান প্রতি ১৯ ম্যাচে ক্লাবকে একটা করে ট্রফি দিয়েছে। আমাদের কাছে ও স্বর্গীয় আশির্বাদের মতো। আশা করি, আরও বহু দিন ও আমাদের সঙ্গেই থাকবে।’’ ফ্লোরেন্তিনো খুশি সের্খিয়ো রামোসকে নিয়েও। তাঁর ইচ্ছে, রিয়াল অধিনায়ক সান্তিয়াগো বের্নাবাউ থেকেই অবসর নিন।