প্রতীকী ছবি।
দারুণ ম্যাচ উপভোগ করেছি। এই ডার্বি এ বার পুজোয় বাড়তি পাওনা। আমরা অনেকেই দল বেঁধে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় স্টেডিয়ামে হুল্লোড় করেছি।
ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ ভাল। তবে মোহনবাগানের ক্রোমা-কামোর খেলা এদিন দারুণ লেগেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও এটা বলতেই হবে। বারবার ওরা আক্রমণে উঠে আসছিল। প্রথমার্ধে আমাদের রক্ষণ ভেঙে বেগ দিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে কিন্তু ইস্টবেঙ্গল খেলাটা ধরে নিয়েছিল।
প্রথমার্ধের শুরুতে দল গোল খেয়ে যাওয়ায় খুবই টেনশন হচ্ছিল। হেরে গেলে পাড়ায় ফিরলে সকলেই তখন নানা কথা বলবে। পরে গোল শোধ হলে তাই একটু হাঁফ ছেড়ে ছিলাম। ফের বিরতির পর ১০ মিনিটের মধ্যে গোল খেলে আমদের সত্যিই দুশ্চিন্তার হয়। পেনাল্টি থেকে গোল শোধ হলে আবার শান্তি। উইলিস প্লাজা এদিন ওপরে একাই খেলছিল মনে হল। গ্যালারিতেই কাছেই ঢাক, ঢোল নিয়ে এসেছিল অনেকে। স্টেডিয়ামে গলা ফাটিয়েছি অন্যদের সঙ্গে। ঘরের মাঠে এ ধরনের ডার্বি উপভোগ করা দারুণ ব্যাপার। পুজোর মধ্যে এই ডার্বির আনন্দও একটা আলাদা ব্যাপার। সব মিলে দারুণ উপভোগ করেছি এদিনের খেলা।
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠে এই ডার্বি তাই মনে থাকবে। ড্র হলেও লিগে গোল সংখ্যার নিরিখে লাল-হলুদ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সমর্থকেরা সেলিব্রেট করব ঠিক করেছি। সবাই মিলে ইলিশ খাব।
(ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক। কম্পিউটার ব্যবসায়ী)