কিংবদন্তি: ইংল্যান্ড ও ম্যান ইউনাইটেড ভক্তদের প্রিয় তারকা ওয়েন রুনির এই উৎসব আর দেখা যাবে না। ফাইল চিত্র
আনুষ্ঠানিক ভাবে ফুটবলার হিসেবে তাঁর বর্ণময় অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন শুক্রবার। এ বার থেকে ওয়েন রুনিকে দেখা যাবে ডাগআউটে ডার্বি কাউন্টি দলের ম্যানেজারের ভূমিকায়।
ব্রিটিশ ফুটবলের ‘গোল্ডেন বয়’ নামে পরিচিত ৩৫ বছরের স্ট্রাইকার জানিয়েছেন, কোচ হিসেবে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করার আগে পরামর্শ নিয়েছিলেন জাতীয় দলে তাঁর একদা সতীর্থ স্টিভন জেরারের কাছে। যিনি এই মুহূর্তে রেঞ্জার্স দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। রুনি বলেছেন, “কোচিং নিয়ে আগ্রহ যে ছিল না, তা বলতে পারি না। জেরার, ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, স্কট পার্কার, জন টেরির মতো তারকা ব্যক্তিত্বরা ফুটবলের সঙ্গে এখনও নিজেদের নতুন ভূমিকায় যুক্ত করে রেখেছেন। ফলে আমিও সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার একটা ইচ্ছা পোষণ করতাম।” যোগ করেন, “স্টিভন মাঠে এবং মাঠের বাইরে এখনও আমার খুব ভাল বন্ধু। তাই ওকেই বিষয়টা নিয়ে জিজ্ঞাসা করি গত বুধবার। ও-ই পরামর্শ দেয়, এত দিন ফুটবল খেলে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা নতুন প্রজন্মের ফুটবলারদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। অধিকাংশ মানুষই তো টেলিভিশনের সামনে বসে ফুটবল বিশ্লেষণ করে থাকেন এবং প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। আমি ফুটবলকে অন্য নজরে দেখে এসেছি। তাই মনে হল, মাঠে নেমে কোচের ভূমিকায় নতুন প্রতিভাদের খেলাটা শেখাতে হবে।”
ফুটবলার জীবন থেকে বরাবরের জন্য সরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে কোথাও কি যন্ত্রণা হয়নি? রুনি বলেছেন, “নিশ্চয়ই কষ্ট হয়েছে। কিন্তু একটা বয়সের পরে আর কোনও কিছুর জন্যই অপেক্ষা করা উচিত নয়।” যোগ করেন, “এভার্টন এবং ম্যান ইউ-এর মতো ক্লাবে এত সময় ধরে যে ফুটবল খেলার সুযোগ পেয়েছি, তেমন ভাগ্যও তো সকলের থাকে না।’’ আরও বলছেন, ‘‘ম্যান ইউকে প্রিমিয়ার লিগ উপহার দিয়েছি ২০০৭ সালে। তার পরে ২০১৬ সালে এফএ কাপজয়ী দলের সদস্য ছিলাম। শুধু সদস্যই নই। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আমি ছিলাম ম্যান ইউ অধিনায়ক। এগুলোও জীবনের বড় প্রাপ্তি। এ বার কোচের ভূমিকায় অবদান রাখতে চাই।”
গ্যারি লিনেকারের টুইট, “আমাদের দেশের সর্বকালের সেরাদের এক জন অবসর নিল। নতুন ভূমিকায় সফল হও।’’ রিয়ো ফার্ডিনান্ড টুইট করেন, “ওকে প্রথম দেখেছিলাম ১৬ বছর বয়সে। তখনই ওয়েনের বাবা-মাকে বলি, এই ছেলে নিশ্চিত ভাবে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে সই করবে। তখন ওঁরা মুচকি হেসেছিলেন। কিন্তু সকলেই পরে বোঝেন, কী দুর্দান্ত এক ফুটবলারকে আমরা পেয়েছি।”