জাতীয় দলকে কোচিং করাতে রাজি নন ওয়াসিম আক্রম। —ফাইল চিত্র
পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী (১৯৯২) দলের সদস্য তিনি। পাকিস্তান দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে। তবে জাতীয় দলকে কোচিং করাতে রাজি নন ওয়াসিম আক্রম।
আইপিএল-এ কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আক্রমের। কিন্তু জাতীয় দলকে কখনও প্রশিক্ষণ দেননি আক্রম। কেন? পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “একটি দলের কোচ হলে বছরে ২০০ থেকে ২৫০ দিন কাজ করতে হয়। প্রচুর কাজ। আমার মনে হয় না পরিবারকে ছেড়ে এত দিন সময় দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। দলের সকলের কাছে আমার মোবাইল নম্বর আছে। যে কোনও সময় আমার সঙ্গে কথা বলতে পারে ওরা।”
শুধু কাজের চাপ নয়, দর্শকদের দুর্ব্যবহারও পাকিস্তান দলকে কোচিং না করানোর একটা কারণ বলে জানিয়েছেন আক্রম। তিনি বলেন, “আমি বোকা নই। আমি দেখেছি কী ভাবে কোচ এবং ক্রিকেটারদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে দর্শক। ক্রিকেটাররা খেলছে। কোচ তাদের সাহায্য করতে পারে। দল হারলে তাই কোচের দোষ বলে আমি মনে করি না।”
আক্রম বলেন, “আমি এটাকে ভয় পাই। আমার সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করবে এটা আমি মানতে পারব না। খেলার প্রতি মানুষের আবেগকে আমি সম্মান করি, কিন্তু তাদের খারাপ ব্যবহারকে নয়। অন্য কোনও দেশে এমন দেখিনি।”
পাকিস্তানের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান মিসবা উল হক। সেই সঙ্গেই সরে গিয়েছিলেন বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিস। টি২০ বিশ্বকাপের জন্য সাকলিন মুস্তাক, আব্দুল রজ্জাককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।